27 C
আবহাওয়া
৫:২৪ পূর্বাহ্ণ - জুলাই ৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যাকে প্রত্যাখ্যান করেছে রাবি শিক্ষক সমিতি

পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যাকে প্রত্যাখ্যান করেছে রাবি শিক্ষক সমিতি

পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যাকে প্রত্যাখ্যান করেছে রাবি শিক্ষক সমিতি

বিএনএ, রাবি: প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যাকে প্রত্যাখ্যান করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষক সমিতি। বুধবার (৩ জুলাই) বেলা ১১টায় তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের চত্বরে অবস্থান কর্মসূচিতে এ প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান।

এদিকে, সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহার ও প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ না করায় বৃষ্টির মধ্যেও তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা।

কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, “প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা যারা এই স্কিম তৈরি করলেন তাঁরা নিজেরাই কেন সেই স্কিমের বাইরে থাকলেন? বিদ্যমান পেনশন স্কিমের অধীনে যারা একই সুবিধাদি পেতেন, নতুন স্কিমে তাদের একই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত করা হলে সেটি নিয়ে বৈষম্যের কথা উঠতোনা। যেখানে নতুন বেতন স্কেল সকলের জন্য একসাথে কার্যকর হচ্ছে, সরকারি কর্মচারীদের জন্য আলাদা সময়ে, আলাদা স্কিম রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই; এটি বৈষম্যমূলক এবং দুরভিসন্ধিমূলক।”

রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে আমরা তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলমান থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই পারে আমাদের আন্দোলনকে চলমান রাখতে; তবে আগামী ৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থাকায় আমাদের আন্দোলন একদিনের জন্য বন্ধ থাকবে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “যখন দেশে করোনা মহামারি ছিলো তখনও ক্যাম্পাসে বন্ধ ছিলো। ক্যাম্পাস খোলার পর শিক্ষকরা অতিরিক্ত ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে সেই ক্ষতি পুষিয়ে ছিলেন। এভাবেই আমাদের চলমান আন্দোলন শেষ হওয়ার পর আবারও শিক্ষকরা অতিরিক্ত ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিবেন।”

এ আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল হক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ওমর ফারুক সরকার, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌসসহ একাধিক সিনিয়র শিক্ষক।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে বিবৃতি প্রদান, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, মানববন্ধন, প্রতীকী কর্মবিরতি, স্মারকলিপি প্রদান এবং অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময়ে সরকারের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গত ২৫, ২৬ ও ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অর্ধদিবস এবং ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হয়। এছাড়াও ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

বিএনএনিউজ/ বিএম/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ