বিএনএ জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন,”ভালোবাসার মতো একটি পবিত্র বিষয় সবসময় যৌক্তিক হবে। এটা অযৌক্তিকভাবে চলতে পারেনা। ভালোবাসায় ডুবে গিয়ে ১৩ তলা অট্টালিকা থেকে পড়ে যাওয়া যৌক্তিক হতে পারে না। তাই আমি সবাইকে আহ্বান জানাই আপনারা অযৌক্তিক ভালোবাসায় হারাবেন না।
রোববার ( ৩ জুলাই) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে নাট্যকলা বিভাগ আয়োজিত ইংরেজি সাহিত্যের নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের বিখ্যাত নাটক এ মিডসামার নাইট’স ড্রিম নাটক মঞ্চস্থের আগে এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নাট্যকলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষ ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা প্রযোজনাটি নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জীব কুমার দে।
বক্তব্যে কামালউদ্দীন আহমদ আরও বলেন, শেক্সপিয়ার সুনিপুণভাবে নাটকটি রচনা করেছেন। তবে ভালো খবর হলো সর্বশেষে ভালোবাসার জয় হওয়া।
এ মিডসামার নাইট’স ড্রিম’ শেক্সপিয়রের রচিত অন্যতম জনপ্রিয় ও সারা বিশ্বে অভিনীত কমেডি নাটক। এথেন্সের ডিউক থিসিয়াস ও আমাজনদের রানি হিপ্পোলিটার বিবাহের পারিপার্শ্বিক ঘটনা অবলম্বনে এই নাটক রচিত। নাটকে দুই প্রণয়ীযুগল ও একদল শখের অভিনেতার অ্যাডভেঞ্চার প্রদর্শিত হয়েছে।
নাটকটিতে অভিনয় করেছেন- শফিকুল, আরিফ, মৌমিতা, সাবরিনা, পরমা, অনামিকা, মৃত্তিকা, বৃষ্টি, সাবিহা, প্রিয়া, শাকিল, নিবিড়, জিন্নাত, নাফিস, মিল্টন, রিয়াজ, জান্নাতুল, লামিয়া, স্বর্ণা, উম্মেহানি, রিমি, বিথী, ফারজানা, সায়লা, সুজানা, আশরাফুল, উচ্ছ্বাস, হৃদয়, ইব্রাহিম, আলিমুল, আবেশ ও এলিন।
নাটকটিতে দেখা যায়, হার্মিয়া নামের এক যুবতীকে তার পিতা দিমেত্রিয়াস নামের এক যুবকের সাথে বিয়ে দিতে চায়। কিন্তু হার্মিয়া ভালোবাসে লাইস্যান্ডারকে। লাইসেন্ডার ও হার্মিয়া সিদ্ধান্ত নেয় দূরে কোথাও পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত ফাঁস হয়ে যায়। অন্যদিকে পরী রাজ্যের রাজা ওবেরন ও রাণী টিটানিয়া একটি ভারতীয় বালককে কেন্দ্র করে ঝগড়ায় মত্ত হয়। ওবেরন রাণী টিটানিয়ার কথায় ক্ষুব্ধ হয় এবং রাণীকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা করে।
ওবেরন তার অনুচর পাককে একটি শ্বেতশুভ্র ফুল এনে দিতে বলে। যে ফুলের নির্যাস ঘুমন্ত কারো চোখে এক ফোঁটা ঢেলে দিলেই ঘুম হতে জেগে ওঠে সে যাকে দেখবে তারই প্রেমে পড়ে যাবে। শ্রমিকদল জঙ্গলে নাটকের মহড়া দিতে এসেছে। পাক ইতিপূর্বে জাদুবলে বটমের মাথাকে গাধার মাথাতে পরিণত করে দেয়। টিটানিয়া গাধারূপী বটমকে দেখেই ভালোবেসে ফেলে। এদিকে লাইসেন্ডার ঘুম হতে জেগে হার্মিয়াকে ভুলে হেলেনাকে প্রেম নিবেদন করে। পরী রাজা ওবেরনের নির্দেশে পাক সবার দৃষ্টি হতে মোহজাল সরিয়ে দেয়। অবশেষে মোহভঙ্গ ঘটে সবার। রাজা থিসিয়াস ও রাণী হিপোলিটার বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দেয় এবং একসাথে সবাই শ্রমিক দলের নাটক উপভোগ করে। এমন ত্রিমুখী প্রেমের সংঘর্ষে সৃষ্টি হয় দারুণ এক হাস্যরসাত্মক পরিস্থিতি। যা নাটকটির মূল দিক।
বিএনএ নিউজ/ সাহিদুল, ওজি