28 C
আবহাওয়া
১:২৪ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পাউলি’র ২০ বছর আগে বঙ্গবন্ধুু ব্লু ইকোনমির চিন্তা করেছিলেন-বিএনএ সম্পাদক

পাউলি’র ২০ বছর আগে বঙ্গবন্ধুু ব্লু ইকোনমির চিন্তা করেছিলেন-বিএনএ সম্পাদক

মিজানুর রহমান মজুমদার

সংবাদ সংস্থা  বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি(বিএনএ) এবং বিএনএনিউজ24 ডটকম এর  সম্পাদক মিজানুর রহমান মজুমদার বলেছেন,  বেলজিয়ামের নাগরিক গুল্টার পাউলি ১৯৯৪ সালে সমুদ্র সম্পদ সংক্রান্ত তার ধারনা তুলে ধরেছেন। যা ২০১২ সালে ব্রাজিলের রাজধানী রিওডি জেনেরিওতে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) সংক্রান্ত বিশ্ব সম্মেলনে স্বীকৃতি পায়)। তখন থেকে সমুদ্র অঞ্চলের দেশগুলো সমুদ্র সম্পদ আহরণে নজর দেয়।

অনেকের অজানা, গুল্টার পাউলির ২০ বছর আগে রাজনীতিবিদ, দার্শনিক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরর রহমান বঙ্গোপসাগরের সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে সংবিধানের ১৪৩ অনুচ্ছেদের ২ নম্বর ধারা অনুযায়ী সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত ‘টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন।

মো:নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি,, সাংসদ নারায়ণগঞ্জ ২

এরপরপরই সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন ১২ মাইল এলাকা জুড়ে ‘টেরিটোরিয়াল সি’ অঞ্চল গঠনের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

মালয়েশিয়ায় ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও ব্লু ইকোনমি’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায়  বিশেষ অতিথি ও অনারারী স্পিকার হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে বিএনএ নিউজ২৪ডট কমের সম্পাদক মিজানুর রহমান মজুমদার উপরোক্ত তথ্য তুলে ধরেন।

শনিবার(৩ জুন ২০২৩) উক্ত আলোচনা সভা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন মালয়েশিয়া কুয়ালালামপুর জালান আমপাংস্থ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল বলরুমে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন মালয়েশিয়ার সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ ফারুকের পরিচালনায় ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি দা’তো আবদুল রউফ লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে উদ্বোধক ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য এডভোকেট নুরুল ইসলাম ঠান্ডু।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এমপি।

মূখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট ড.মশিউর মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন লে:ক: (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু এমপি, সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাই কমিশণের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর, মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি দা’তো কামরুজ্জামান কামাল, মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অহিদুর রহমান অহিদ, বিএনএনিউজ24 ডটকম এর  সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ফেনী জেলার কার্যকরী সদস্য মিজানুর রহমান মজুমদার।

প্রায় দুই হাজারেরও অধিক বাংলাদেশি প্রবাসী এ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ
প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ

মিজানুর রহমান মজুমদার বলেন, বঙ্গবন্ধুর আগে সমুদ্র ভিত্তিক অর্থনৈতিক চিন্তা কেউ করেনি! বিশ্বের কোনো দেশে এ ধরনের আইনও ছিল না। ১৯৮২ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রনয়ন করা আইন জাতিসংঘ সমুদ্র আইন কনভেনশন হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কন্যা শেখ হাসিনারও পিতার মতো মেধা ও দূরদৃষ্টি রয়েছে। তিনি বুঝতে পেরেছেন সুনীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। বঙ্গোপসাগরের নিচে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ জ্বালানি তেল গ্যাসসহ অসংখ্য খনিজ সম্পদ মজুদ রয়েছে যা আগামী দিনের জ্বালানি রাজনীতি ও অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

বিএনএ সম্পাদক আরও বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্র সীমানায় জ্বালানী ও বিভিন্ন ভারী খনিজ সম্পদের পাশাপাশি ৪৭৫ প্রজাতির মৎস্য রয়েছে। যা আহরণ এবং রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। বাংলাদেশের স্থলভাগে যে পরিমাণ সম্পদ বিদ্যমান, তারও বেশি সম্পদ সমুদ্র তলদেশে রয়েছে।
সেকারণে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার জাতিসংঘের আনক্লোস আইনটি অনুসমর্থন করে। ফলে পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ৩৫০ মাইলব্যাপী মহীসোপানের দাবি জাতিসংঘে উত্থাপনের দায় সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সালে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা চূড়ান্তভাবে নির্ধারণে আইনি লড়াই শুরু করে।

প্রায় দুই হাজারেরও অধিক বাংলাদেশি প্রবাসী এ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
প্রায় দুই হাজারেরও অধিক বাংলাদেশি প্রবাসী এ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

অবশেষে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে ২০১২ মিয়ানমার এবং ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধের নিষ্পত্তি হয়। ফলে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চল, ২০০ নটিক্যাল মাইলের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানে সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। যা বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডের ৮০ দশমিক ৫১ শতাংশ। এটি যেন বঙ্গোপসাগরের বুকে আরেক বাংলাদেশ!

বিএনএ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজুমদার আরও বলেন, বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা অনুয়ায়ি ২০৪১ সাল নাগাদ স্মাট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং উন্নত বিশ্বে সামিল হতে হলে সমুদ্রে যে বিশাল সম্পদ রয়েছে, তা আহরণ, সংরক্ষণ ও রপ্তানির বিকল্প নেই।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মাধ্যমে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন,তার মূল্যায়ন বাংলাদেশের মানুষ করবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরস্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব সরকার গঠন করবে আওয়ামী লীগ।

সমুদ্র সম্পদ বিষয়ক পৃথক মন্ত্রণালয় গঠনের প্রস্তাব

মিজানুর রহমান মজুমদার এই অনুষ্ঠান থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব করেন, আগামীতে সরকার গঠন করার সময় যেন সমুদ্র সম্পদ বিষয়ক পৃথক একটি মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়।

মিজানুর রহমান মজুমদার
মিজানুর রহমান মজুমদার

সেমিনারে বাংলাদেশ থেকে আরো অংশ নেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম তান্ডু, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি ড.  আবদুল মালেক মশিউর ,সহ সভাপতি আবদুল খালেক মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক রশিদা হক কণিকা, শহীদুল্লাহ ওসমানী, সহ সাধারণ সম্পাদক ডেবিট এ হালদার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাহানা জেসমিন, সহকারি সাংগঠনিক সম্পাদক মুসা মিয়া, নারায়ণ চন্দ্রশীল, জীবন সদস্য আবুল কালাম আজাদ, আমিনা ফেরদৌসি, আইরিন ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ইশরাত জাহান মিলি, মমতাজ বেগম, সুলতানা রেবেকা ইসলাম, ঢাকা সিটি সাউথ কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি এমডি সামি উল্লাহ, এডভোকেট নজরুল ইসলাম, শিল্পী বেগম, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ভারত শাখার সভাপতি  মীর মামুন মাহমুদ শামীম প্রমুখ।

বিএনএনিউজ২৪,জিএন,ওয়াই এইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ