বিএনএ, চট্টগ্রাম : হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামি মো. মনজুর আলম (৫৬) ২০ বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে। বুধবার (৩ মে) চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭ এর একটি দল।
র্যাব জানায়, ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী ভিকটিম আব্দুল জব্বার ও তার চাচাতো ভাই শওকত ও জয়নাল মাছ বিক্রি করতে কতুবদিয়া থেকে চাক্তাই নতুন সেতু মৎস্য ঘাট এলাকায় যান। পরদিন মাছ বিক্রির টাকা নিয়ে তারা ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কর্ণফুলী নদীতে একটি নৌকা থেকে ডাকাত দল তাদেরকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। ওই নৌকায় মনজুর আলম, তার বাবা ও ভাইসহ অন্যান্যরা সশরীরে উপস্থিত ছিল। পতেঙ্গা কয়লার গর্তের দিকে তারা ভিকটিম জব্বারসহ অন্যদের মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে ডাকাতরা আব্দুল জব্বারকে হত্যা করে এবং অন্যদের রক্তাক্ত জখম করে নদীতে ফেলে দেয়। পরদিন স্থানীয় লোকজন নদী হতে ভিকটিমের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত ভিকটিমের ভাই আব্দুর রহিম বাদী হয়ে মনজুর আলম এবং আরও ৩/৪ জনকে আসামীদদি করে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৬ সালের ২৭ এপ্রিল আসামী মনজুর আলম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালীন সময়ে আসামি মনজুর জামিনে গিয়ে পলাতক থাকে।
২০১৭ সালের ২৯ জুলাই আসামির অনুপস্থিতিতে আবদুল জব্বারকে হত্যার দায়ে আসামী মনজুর আলমকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন।
দীর্ঘদিন পলাতক থাকা মনজুর আলমকে র্যাব নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে ধরতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে পোশাককর্মীর পেশা পরিবর্তন করে ফিশারীঘাট এলাকায় ভ্যানগাড়ি দিয়ে মাছের ব্যবসা শুরু করে।
আটকের পর তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।