স্পোর্টস ডেস্ক: বাবর আজমের অধিনায়কোচিত সেঞ্চুরিতে ২৭৪ রানের লক্ষ্যটা খুব সহজ বানিয়ে ফেলেছিল পাকিস্তান। কিন্তু বাবর আজম ফিরে যাওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা, লড়ে যায় একদম শেষ পর্যন্ত। আশা জাগিয়েও রোমাঞ্চকর লড়াইটি শেষ বলে গিয়ে হেরেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে প্রথমে ব্যাট করে রসি ফন ডার ডুসেনের ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরির সুবাদে ২৭৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় প্রোটিয়ারা। জবাবে ম্যাচের একদম শেষ বলে গিয়ে ৩ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। সবশেষ ২০০৫ সালে ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান।
অবশ্য তাদের এ জয়ের পেছনে রয়েছে প্রোটিয়া ফিল্ডার-বোলারদের বদান্যতা। ম্যাচের শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। তখন বোলিংয়ে আসেন লুঙ্গি এনগিডি। প্রথম তিন বলে মাত্র ২ রান খরচ করেন তিনি। ফলে প্রয়োজন দাঁড়ায় ৯ বলে ১২ রান।
তখনই গোলমাল পাকানোর শুরু। ওভারের চতুর্থ বলটি ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছিলেন শাদাব খান। কিন্তু সেটি রাখতে পারেননি ডুসেন। ফলে পাকিস্তান পেয়ে যায় ২ রান। তবু শেষের ৮ বলে বাকি থাকে ১০ রান। পঞ্চম বলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হন শাদাব কিন্তু সেটি ছিল কোমড় উচ্চতার নো বল। ফলে বেঁচে যান শাদাব।
ফ্রি হিট বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে সমীকরণ নিজেদের পক্ষে আনেন শাদাব। শেষ বলে উইকেটরক্ষকের ভুলে আরও ৩ রান নিয়ে নেন তিনি। ফলে শেষ ওভারে বাকি থামে মাত্র ৩ রান। কিন্তু নাটকীয়তার বাকি ছিল আরও অনেক। যার ফলে এই ৩ রান নিতেও পুরো ওভারটি খেলতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
শেষ ওভারে বল হাতে নেন আন্দিল ফেলুকায়ো। তার প্রথম বলেই ডুসেনের হাতে ধরা পড়েন ৩০ বলে ৩৩ রান করা শাদাব খান। পরে স্ট্রাইকে আসেন ফাহিম আশরাফ। তিনি পরপর তিনটি বলই খেলেন ডট। ফলে ২ বলে বাকি ৩ রান। পঞ্চম বলটি বোলারের মাথার ওপর দিয়ে মেরে ২ রান নেন ফাহিম আর শেষ বলে কাভার-পয়েন্টের পাশ দিয়ে ১ রান নিয়ে নিশ্চিত করেন দলের জয়।
অথচ এ ম্যাচে এত নাটকীয়তার আভাস মেলেনি পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুতে। ২৭৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুব সহজেই এগুচ্ছিল তারা। ফাখর জামান (৮) দলীয় ১৯ রানে সাজঘরে ফিরে গেলেও, দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন ইমাম উল হক ও বাবর আজম।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ