29 C
আবহাওয়া
৭:৩৪ পূর্বাহ্ণ - মে ৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ

পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ


বিএনএ, বিশ্বডেস্ক: পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন শেহবাজ শরিফ। রোববার (৩ মার্চ) দেশটির জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের ভোটে এই পদে নির্বাচিত হন তিনি।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন প্রভাবশালী শরিফ পরিবারের এই সদস্য। রোববার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

ডন বলছে, পিএমএল-এন সভাপতি শেহবাজ শরিফ ২০১ ভোট পেয়ে পাকিস্তানের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন বলে জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে পিটিআইয়ের প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান পেয়েছেন ৯২ ভোট।

তবে, ভোটাভুটির আগেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজই হচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। কারণ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে নিজের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) পাশাপাশি পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ), বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি), পাকিস্তান মুসলিম লীগ-জিয়া (পিএমএল-জেড), ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান (আইপিপি) এবং ন্যাশনাল পার্টির (এনপি) সমর্থন নিশ্চিত ছিল শাহবাজের। এই সাত দলের জোটে মোট আসন সংখ্যা ২০৫টি।

এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হয় ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান। এরপর শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে দেশটিতে বিরোধীরা জোট সরকার গঠন করে।

এদিকে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটাভুটি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ)-এর সদস্যরা। তারা আগেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এছাড়া, ভোটদানে বিরত ছিলেন বেলুচিস্তান ন্যাশনাল পার্টির সরদার আখতার মঙ্গল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদ নির্বাচন হয়। এবারের নির্বাচনে কোনো দল সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সবচেয়ে বেশি আসন পান পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পায় পিএমএল-এন। তৃতীয় স্থান পায় পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এমএল-এন ও পিপিপি জোটবদ্ধভাবে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।

বিএনএ/এমএফ/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ