পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘ(জাস) মহাসচিবের নব-নিযুক্ত বিশেষ দূত ড. নোলিন হাইজারকে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের লক্ষে আঞ্চলিক দেশগুলোসহ সকল অংশীজনদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাখাইন রাজ্যে এমন একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে যাতে রোহিঙ্গারা নিরাপদে, নিরাপত্তার সাথে এবং মর্যাদাপূর্ণভাবে তাদের নিজভূমিতে ফিরে যেতে পারে।
ড. নোলিন হাইজারের সঙ্গে এক বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন উপরোক্ত অনুরোধ জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রী বর্তমানে নিউইর্য়কে সফরে রয়েছেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন বৃহস্পতিবার(৩মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, স্বদেশে ফেরার তেমন কোনো আশা নেই দেখে রোহিঙ্গারা ক্রমশ: অবৈধ ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। তিনি হেইজারকে যতটা দ্রুত সম্ভব কক্সবাজার ক্যাম্প ও ভাষান চর পরির্দশনের আমন্ত্রণ জানান।
বিশেষ দূত মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাঁর সহানুভূতি ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
বিশেষ দূত বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি তাঁর সর্বোচ্চ এজেন্ডা এবং যত দ্রুত সম্ভব এই সংকটের একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করার জন্য তিনি আঞ্চলিক দেশসমূহ, আন্তর্জাতিক সংস্থা, রোহিঙ্গা নেতা এবং মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষসহ সকল অংশীজনদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করবেন।
বৈঠকে অন্যান্যদের সাথে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফের্য়াস ড. মো. মনোয়ার হোসেন।
তাছাড়া জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সে সময় মহাসচিব শান্তি রক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তি রক্ষীদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের আরো বেশি সহায়তা চান জাতিসংঘ মহাসচিব।
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেজ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। জোরর্পূবক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘের পূর্ণ সমর্থনের কথা আবারো উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরর্দশী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য আর্থ সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন গুতেরেজ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সামনের বছর গুলোতে বিশেষ করে এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে আরও সাফল্য অর্জন করবে বাংলাদেশ।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন
