20 C
আবহাওয়া
৬:৫১ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মালদ্বীপ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করছে ভারত

মালদ্বীপ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করছে ভারত


বিএনএ, বিশ্বডেস্ক: দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের অবসান করতে অবশেষে মালদ্বীপ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশি ভারত।

শনিবার মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আগামী মে মাসের মধ্যে মালদ্বীপ থেকে নিজ সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নেবে নয়াদিল্লি।

ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশটি থেকে ভারতীয় প্রায় ৮০ জন সৈন্যকে সরিয়ে নিয়ে বেসামরিক কর্মীদের নিয়োগ করা হবে বলে উভয় দেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে বৈশ্বিক শক্তিগুলোর ব্যাপক দৌড়ঝাঁপের মাঝে সম্প্রতি মালদ্বীপের সাথে ভারতের টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে প্রতিবেশি এই দেশটি ভারত ঘেঁষা হলেও মালদ্বীপের চীনপন্থি নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু গত নভেম্বরে ক্ষমতায় আসার পর সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। মুইজ্জুর নির্বাচনী ইশতিহারের অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল ক্ষমতায় আসার পর মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সৈন্যদের প্রত্যাহারে ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

মালদ্বীপের ‘‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’’ নীতির অবসানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোহাম্মদ মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর থেকে মালের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্কে ক্রমান্বয়ে অবনতি ঘটে।

উল্লেখ্য, মালদ্বীপে মেডিকেল স্টাফ সহ ভারতীয় প্রায় ৮০ জন কর্মকর্তা নিয়োজিত আছেন। তারা বিস্তৃত মালদ্বীপের সামুদ্রিক অঞ্চলে টহল দিতে তিনটি বিমান ব্যবহার করে। সাক্ষাতের পর মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে উভয় পক্ষ। তিনটি এভিয়েশন প্লাটফরম থেকে একটির কর্মকর্তাদের তারা সরিয়ে নেবে ১০ই মার্চের মধ্যে। বাকি দুটি প্লাটফরম থেকে ১০ই মের মধ্যে প্রত্যাহার করা হবে।

ডিসেম্বরে দুবাইতে সিওপি২৮ সামিটের পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজুর মধ্যে বৈঠক হয়।

সেই বৈঠকের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এতে আলোচনা করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নভেম্বরে মালদ্বীপে ক্ষমতায় এসেছেন মোহাম্মদ মুইজু। কিন্তু নয়া দিল্লি চায়, ভারত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ তাদের প্রভাববলয়ের মধ্যে থাকবে। কিন্তু মালদ্বীপ তা না হয়ে চীনের কক্ষপথে চলে গেছে। একে ভারত উদ্বেগের চোখে দেখছে।

বিএনএ/এমএফ

Loading


শিরোনাম বিএনএ