বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : রাজু ভাট ও রাভিনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি নয় আত্মীয় স্বজনরা। বৃহস্পতিবার রাতে ওই যুগল সিদ্ধান্ত নেয়, অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে তাঁরা একসঙ্গে আত্মহত্যা করবে। খেড় গ্রামের কাছে একটি রেল স্টেশনে যায় তাঁরা। ট্রেন আসতেই একসঙ্গে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য এগোলেও, শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে আসে যুবতী। একাই ঝাঁপ দেন ওই যুবক। ট্রেনের নীচে কাটা পড়েন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানে। রাজ্যের বালোতারা জেলার খেদ রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিলে রাজু ভাট নামে ওই ব্যক্তি (৩৪) মারা যান। শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, রাজু নামের ওই ব্যক্তির স্ত্রী এবং আট ও পাঁচ বছর বয়সী দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু প্রায় এক বছর আগে একই গ্রামের রাভিনা (২০) নামের এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রাজু। তবে নানা কারণে তারা বিয়ে করতে পারেননি। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে রাজু ও রাভিনার মধ্যে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয়, পরে একসাথে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তারা। এদিন চলন্ত ট্রেনের সামনে রাজু ঝাঁপ দিলেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে পিছিয়ে যায় রাভিনা।
ঘটনার পর ট্রেনের গার্ড ও স্টেশনের অন্যান্য কর্মীরা রাজুর মরদেহ বালোতরা স্টেশনে নিয়ে আসে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজুর মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের ভাই বীরমারাম অভিযোগ করে বলেন, ‘রাজু এর আগেও প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন যে রাজুকে মহিলার পরিবার খুন করেছে এবং তার মৃতদেহ ট্র্যাকের উপর রেখেছিল যাতে মনে হয় সে আত্মহত্যা করে মারা গেছে’।
রাজুর মরদেহ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তার পরিবার। তারা মেয়েটিকে গ্রেপ্তারের দাবি তুলেছে।
পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম/ হাসনা