বিএনএ: সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। নেপালকে ৩-১ গোলে হারায় ছোটনের শিষ্যরা।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কমলাপুর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের হয়ে গোল তিনটি করেন আকলিমা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র ও শাহেদা আক্তার রিপা।
সাফজয়ী সিনিয়র দলের ছয়জন খেলছেন এবারের নারী অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে। সেখানে অপেক্ষাকৃত দুর্বল নেপাল। স্বাভাবিকভাবেই তাই ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে আধিপত্য দেখায় বাংলাদেশের মেয়েরা। প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ।
বল মাঠে গড়ানোর তৃতীয় মিনিটেই নেপালের জালে আঘাত হেনে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের লিড এনে দেন আকলিমা খাতুন। মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের থেকে বল কেড়ে নিয়ে লম্বা পাস দেন শাহেদা আক্তার রিপা। বল দখলে নিয়ে দ্রুতগতিতে নেপালের ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষক কবিতাকে পরাস্ত করেন আকলিমা।
১৩ মিনিটে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়র। নিজেদের সীমানা থেকে ডিফেন্ডারের বাড়ানো দূরপাল্লার শট প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে পেয়ে যান শামসুন্নাহার। সেখানে নেপালের গোলরক্ষক ও এক ডিফেন্ডারের বাধা উপেক্ষা করে তিনি বল জড়ান জালে।
এর ১১ মিনিট পর আক্রমণে উঠে গোল ব্যবধান কমায় নেপাল। কর্নার থেকে সতীর্থের পাঠানো ক্রস জটলার মধ্যে থেকে ডান পায়ের নিখুঁত শটে জালে জড়ান মানমায়া দামাই। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি বাংলাদেশের গোলরক্ষক রূপনা চাকমা। বিরতির আগে আরও একটি গোল হজম করতে পারতো বাংলাদেশ। তবে রূপনা চাকমা ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে নৈপুণ্য দেখিয়ে দলকে এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দেয়।
দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে নেপালের মেয়েরা। তবে তাদের সামনে বার বার বাধা হয়ে দাঁড়ান রূপনা চাকমা। অন্যদিকে আক্রমণে কিছুটা ব্যাকফুটে থাকেন ছোটনের শিষ্যরা। তবে কেউই পাচ্ছিল না গোলের দেখা। অবশেষে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে যোগ করা সময়ে আরও একবার জ্বলে ওঠেন বাংলার মেয়েরা। ডি-বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে লম্বা থ্রুতে সরাসরি বল জালে জড়ান শাহেদা আক্তার রিপা। তাতে ৩-১ গোলের জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে আয়োজিত এ টুর্নামেন্টে দিনের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ১২-০ গোলে হারিয়েছে ভারতের মেয়েরা। ফলে নেপালকে হারিয়ে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় টেবিলের দুইয়ে অবস্থান করতে হচ্ছে শামসুন্নাহারদের।
রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির এ টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল একবার করে পরস্পরের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পাবেন। টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দল আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে।
বিএনএনিউজ/এ আর