বিএনএ ডেস্ক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা ক্যাম্পাস প্রত্যাবর্তন আন্দোলন অপূর্ণ রেখে চারুকলার ইন্সিটিউট ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২ ফ্রেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে একে একে ছাত্রাবাস ছাড়তে শুরু করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশনা আসার পরই ১১টার পর ক্যাম্পাস ছাড়েন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা ক্যাম্পাস না ছাড়ার ঘোষণা দেন।
চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শহীদ বলেন, আমরা রাত ১০টা পর্যন্ত প্রশাসনের অফিশিয়ালি সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করেছি। কিন্তু আমাদের কাছে লিখিত কোনো বিজ্ঞপ্তি আসেনি হল ছাড়ার। এরপর ওয়ার্ডেনকে ফোন দেয়া হলো, তিনিও বললেন এ রকম কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
শহীদ আরও বলেন, আমরা যদি ক্যাম্পাস না ছাড়ি তাহলে দেখা যাবে গতরাতের মতো আবারও মধ্যরাতে তল্লাশি চালাচ্ছে। কারণ গতরাতে পুলিশ নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে আমাদের ব্যানার, লিফলেট সব ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমাদেরকে অপমান অপদস্ত করা হয়েছে। এ জন্য এ রকম ঘটনা যেন আর না ঘটে তাই আমরা এক প্রকার বাধ্য হয়েই ক্যাম্পাস ছাড়লাম।
তিনি বলেন, আমারা তো আন্দোলন করেছি শুধু ভবন মেরামতের জন্য না। আমরা আন্দোলন করেছি ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য। কিন্তু হঠাৎ তারা সিন্ডিকেট সভা ডেকে যে সিদ্ধান্ত নিলো, এটা আমাদের বোধগম্য নয়। এর দ্বারা কী বোঝাতে চাইছে আমরা বুঝতে পারছি না।
এর আগে টানা ৮২ দিন আন্দোলনের পর গত ২১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। পরদিন দ্বিতীয় দফায় জেলা প্রশাসক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত রেখে খোলা মাঠে ক্লাস করার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারীতে অবস্থিত। ২০১০ সালে চবি চারুকলা বিভাগ ও চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজকে একীভূত করার মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি চারুকলা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নগরীর বাদশাহ মিয়া চৌধুরী সড়কে বর্তমান চারুকলা ইনস্টিটিউটের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএএইচ