বিএনএ ডেস্ক : ১.’অনুগ্রহ করে আপনার আসনটি আপরাইট (হেলান দেওয়ার অংশটি খাড়াভাবে রাখা) পজিশনে রাখুন, ২. ট্রে টেবিল ভাঁজ করে রাখুন, ৩.জানালার পর্দা উঠিয়ে রাখুন, ৪. ল্যাপটপ মাথার ওপর বিনে রাখুন এবং ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ফ্লাইট মোডে রাখুন,’।
বিমানে চড়ার সময় এই ঘোষণাগুলো আমাদের সবার কাছেই পরিচিত।
বিমান ভ্রমণের সময় স্মার্টফোন বা ল্যাপটপকে ‘ফ্লাইট মোড’-এ রাখতে বলা হয়। তবে এই ফ্লাইট মোড কেন ব্যবহার করতে হয় তা অনেকেরই অজানা। জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের (এফসিসি) দাবি, সেলফোন বা এ ধরনের ডিভাইসগুলোর রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বিমানের নেভিগেশন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ কারণে, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) বিমান উড়ানের সময় এবং অবতরণের সময় কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে নিষেধ করে।
ফ্লাইট মোড সাময়িকভাবে ফোন বা ল্যাপটপের ডেটা ট্রান্সমিটার এবং রিসিভারের সিগন্যালগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। অর্থাৎ ডিভাইসে কোনও ডেটা পাঠানো বা গ্রহণ করা যায় না। ফলে ব্যবহারকারী কোনও কল করতে, টেক্সট মেসেজ করতে বা মেল পাঠাতেও পারবেন না। এয়ারপ্লেন বা ফ্লাইট মোডে থাকা ডিভাইস ব্লুটুথ বা ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করতে দেয় বিমান থেকে।
অনেক এয়ারলাইন্সই এখন যাত্রীদের অর্থের বিনিময়ে বা ফ্রি ওয়াইফাই সেবা দিচ্ছে। ফলে যাত্রীরা বিমানের ওয়াইফাই দিয়েই মোবাইলে অডিও বা ভিডিও কল করতে পারছেন।
তবে বিমান ক্রুদের জন্য এটি বাড়তি ঝামেলাও তৈরি করেছে। যাত্রীর কী লাগবে, তা জিজ্ঞেস করতে গিয়ে অনেক কেবিন ক্রুকেই যাত্রীর মোবাইলে কথা বলা শেষ হওয়ার পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ফলে ফ্লাইটের ভেতর নির্ধারিত সেবা সম্পন্ন করতে আগের তুলনায় বেশি সময় লাগছে।
বিএনএ,নিউজ/রেহানা/এইচ.এম।