চট্টগ্রাম: বিশ্বের ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাহিত্য-সংস্কৃতি, ভাষাসাহিত্য, ধর্ম-সভ্যতা, আবিষ্কার, বিজ্ঞান, দেশ, মানুষ-মনীষী, প্রাচীন ও আধুনিক ইতিহাস বিষয়ক একটি বিশেষ গ্রন্থ ‘বিশ্ব ইতিহাস পরিক্রমা’ চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান, ইতিহাস বিষয়ক নিয়মিত কাগজ ‘কিরাত বাংলা’র সম্পাদক, ইতিহাসবেত্তা সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের রচনা ও সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে।
রবিবার(১ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, পরিবেশবিদ ও ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন আলহাজ হাকিম আলী।
‘বিশ্ব ইতিহাস পরিক্রমা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করে লায়ন আলহাজ হাকিম আলী বলেছেন, প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্য আমাদের কাছে গৌরবজনক সম্পদ। অতীতহীন মানুষের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ শুদ্ধ ও সুন্দর হয় না। ইতিহাস-ঐতিহ্য সাহিত্য-সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করে আমাদের নবপ্রজন্মকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমাদের সকলের উচিত ইতিহাস-ঐতিহ্য সাহিত্য-সংস্কৃতির সাথে নবপ্রজন্মকে পরিচয় করে দিয়ে সাহিত্য-সংস্কৃতিবান্ধব সমাজ ও দেশ গঠন করা।
আধুনিক পৃথিবীর সকল দেশ তাদের স্ব-স্ব সাহিত্য ও মাতৃভাষা নন্দিত করে ধরে রেখেছে। আমাদেরও উচিত আমাদের ঐতিহ্যগুলো পাঠ্যপুস্তক ও অতিরিক্ত সহায়ক বইপুস্তকের মাধ্যমে জাতির সামনে তুলে ধরা। সেক্ষেত্রে ইতিহাস লেখক, গবেষক, সাংবাদিক, কবি-শিক্ষাবিদগণ যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারেন।
তিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে ইতিহাসবেত্তা সোহেল মো. ফখরুদ-দীন ‘বিশ্ব ইতিহাস পরিক্রমা’ গ্রন্থটির প্রকাশের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তাঁর প্রশংসা করেন। প্রাচীন এই চট্টগ্রাম হাজার বছরের ঐতিহ্য ও গৌরবের সাক্ষী। কর্ণফুলী নদীর দু’তীরে গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতা ও পৃথিবীর প্রাচীন এখনকার সময়ের আধুনিক বন্দর চট্টগ্রাম। বঙ্গোপসাগর, পাহাড়-পর্বত, নদ-নদীর এই বাংলাদেশ বিশ্ব ইতিহাসে আজ গৌরবের সাক্ষী।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, পরিবেশবিদ ও ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেডের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন আলহাজ হাকিম আলী।
উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক-গবেষক ও ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেডের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আবদুর রহিম, মুসলমান ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসাইন, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, মো. দেলোয়ার হোসেন মানিক, লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া, ইতিহাসবেত্তা সোহেল মো. ফখরুদ-দীন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সারা দুনিয়ার বিশেষ বিশেষ ইতিহাস নিয়ে ‘বিশ্ব ইতিহাস পরিক্রমা’ গ্রন্থটির প্রকাশ। পৃথিবীতে ২০৬টি দেশ আছে। ১৯৩টি দেশ জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত। অন্য একটি গবেষণায় পৃথিবীর দেশ ২৩১টি বলে উল্লেখ আছে। পৃথিবীর ৭টি মহাদেশ, ৫টি মহাসাগর, ২৭টি সাগর আছে। তিন ভাগ পানি, এক ভাগ স্থল।
২০২৪ সালে পৃথিবীতে ৮০১ কোটি ৯৮ লাখ ৭৬ হাজার ১৮৯ জন মানুষ আছে। ইথনোগল-এর ২০তম সংস্করণ মতে, পৃথিবীতে ভাষার সংখ্যা ৭০৯৯টি। জনসংখ্যার দিক দিয়ে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা চতুর্থ বৃহৎ ভাষা।
‘বিশ্ব ইতিহাস পরিক্রমা’ বইটি বাংলা ভাষায় রচিত। তবে ১০ ভাগ গবেষণা, প্রবন্ধ ও জীবনী ইংরেজিতে আছে। বইটিতে সাতটি মহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্য ও রাজনীতির কথা উঠে এসেছে। এই দুনিয়ার হাজারো ইতিহাস মানুষের অজানা এখনো। আমাদের নতুন প্রজন্মকে ইতিহাসে উৎসাহিত করতে এই আয়োজন আমাদের ।
পৃথিবীর শুরু থেকে আজকের আধুনিক সময়ের সংক্ষিপ্ত বর্ননা এ গ্রন্থে আছে। পৃথিবীতে ক্ষমতাবান ১০০ জন রাষ্ট্রনায়কের জীবনী, ৫০০ জনের অধিক বিজ্ঞানী, আবিষ্কারকের জীবনী, ৫০ অধিক ধর্মবেত্তার জীবন, পৃথিবীতে যুগে যুগে স্বাধীনতা, দেশ-মহাদেশ, সাগর-মহাসাগর, সমুদ্র, পাহাড়-পর্বত, মরুভূমির ইতিহাস। কালজয়ী শিক্ষাবিদ, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা শিক্ষার কথা, সর্বোপরি মানুষ-মনীষীর অবদান রাখা ব্যক্তির জীবনকর্মসহ ৫০০ শতাধিক বিষয়ের উপরে লিখিত বইটি একটি খণ্ডে ২ হাজার ৬৪ পৃষ্ঠার।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি।
বিএনএনিউজ২৪,এসজিএন