রংপুর : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বইতে সামান্য পরিমার্জন করা হয়েছে। তিনি জানান, প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তকে জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ইতিহাসের প্রতিফলন থাকবে। ছবি ও গল্পের মাধ্যমে অভ্যুত্থানের ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
উপদেষ্টা রবিবার (১লা ডিসেম্বর) রংপুরের আরডিআরএস ভবনের বেগম রোকেয়া হলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৪ এর আওতায় ‘প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৫ প্রকল্পের জন্য ডিজাইনিং কর্মশালা’ উদ্বোধনের পূর্বে সাংবাদিকদের ব্রিফংকালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিকের পাঠ্যপুস্তকের বইয়ের কিছু পরিমার্জন হয়েছে। প্রিন্টিং এর কাজ চলছে। জানুয়ারিতেই প্রাথমিকের বই বিতরণ সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে যেখানে ভর্তির জন্য প্রতিযোগিতা হয়। আবার অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে যেগুলো মানসম্পন্ন নয়। আমরা শিক্ষা উপকরণ দিচ্ছি, উপবৃত্তি দিচ্ছি, দুপুরের খাবার দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সব স্কুলে দুপুরের খাবার দেয়া হবে।
উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার ভৌত অবকাঠামো ভালো। সে তুলনায় পারফরমেন্স খুব ভালো না। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নই বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেই শিক্ষার উন্নয়ন হবে এমনটা নয়। শিক্ষার গুণগত উন্নয়ন ঘটাতে হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য শিক্ষকদের কাজ করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উপর চাপ প্রয়োগ করে পড়া-লেখা আদায় করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে।
তিনি বলেন, পঞ্চম শ্রেণী পাস করে একজন শিক্ষার্থী যাতে পড়তে ও লিখতে পারে এবং যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ করতে পারে সেটা আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে কাজ করে যাব। প্রাইমারিতে সব শিখিয়ে ফেলবো তা সঠিক নয়। মাতৃভাষায় সহজে পড়তে ও লিখতে পারার প্রতি মনোযোগ সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষক আছেন, মানের ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে, সেগুলো দেখব।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ সাখাওয়াৎ হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় উপপরিচালক মোঃ আজিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসজিএন