বিশ্ব ডেস্ক: ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি পরিচ্ছন্ন পৃথিবী রেখে যাওয়া সম্ভব, জাতিসংঘের শূন্য বর্জ্য আন্দোলনের উপদেষ্টা পর্ষদের প্রথম আনুষ্ঠানিক সভায় এমন মন্তব্য করেছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোগান।
বুধবার (১ নভেম্বর) ইস্তাম্বুলে তুরস্কের ফার্স্ট লেডির সভাপতিত্বে জাতিসংঘের ‘শূন্য বজ্য’ উপদেষ্টা পর্ষদের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন পর্ষদের সদস্য বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী, ইউনূস এনভায়রনম্টে হাব এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস,বিশ্বের কয়েকজন বর্জ্য বিশেষজ্ঞসহ জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এর আগে গত জুলাইয়ে অনলাইনে প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইস্তাম্বুলের ভাদেত্তিন ম্যানশনে, ইউএন হ্যাবিট্যাটের নির্বাহী পরিচালক মায়মুনাহ মোহাম্মদ শরীফ সভাটি পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানে ফাস্ট লেডি উদ্বোধনী বক্তৃতায়, বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে অংশগ্রহণকারীদের সাফল্যের গল্প এবং তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এমিনি এরদোগান বলেন, ‘আধুনিক মানুষের উৎপাদন এবং খাদ্য অভ্যাসে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ রয়েছে।’
এমিনি এরদোগান বলেন , ‘আজ, সীমিত সম্পদ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, তবুও প্রতি বছর ২ বিলিয়ন টনেরও বেশি গৃহস্থালির বর্জ্য তৈরি হয়। এটি শিগগিরই দ্বিগুণ হবে। শূন্য বর্জ্য কর্মসূচি ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের ফলাফল এবং ছয় বছরে তুরস্কে ৯৯ দশমিক ১৫ ট্রিলিয়ান বজ্য বাঁচাতে সাহায্য করছে। বছরে ৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন গ্রিনহাউস নির্গমন রোধ করা হচ্ছে।’
বজ্য ব্যবস্থাপনার আহ্বান জানিয়ে তুরস্কের ফাস্ট লেডি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী শূন্য বর্জ্য আন্দোলনের চূড়ান্ত আদর্শ হল প্রতিটি ব্যক্তির জীবনধারা হিসেবে শূন্য বর্জ্য গ্রহণ করা। আমাদের বলতে হবে জলবায়ু সংকটের মুখে যারা মরিয়া বোধ করে তারা বিশ্বকে উন্নত করতে পারে। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি পরিচ্ছন্ন পৃথিবী রেখে যাওয়া সম্ভব। ’
সভায় বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল ফর পলিসি গাই বার্নার্ড রাইডার, সুরিনাম ফার্স্ট লেডি মেলিসা সান্তোখি-সেনাচেরি; সিয়েরা লিওনের ফাস্ট লেডি ফাতিমা মাদা বায়ো; বর্জ্য পুনর্ব্যবহারে বিশেষায়িত কোম্পানির আলগ্রামোর সিইও জোস ম্যানুয়েল মোলার, বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী, ইউনূস এনভায়রনম্টে হাব এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ইন্টারন্যাশনাল সলিড ওয়েস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসডব্লিএ) সভাপতি কার্লোস সিলভা ফিলহো, সার্কুলার ইকোনমি অর্গানাইজেশন সিইএমপিআরই এর সিইও লরা রেইস,
ওয়েস্ট ট্রান্সফরমারের সিইও লারা ভ্যান ড্রুটেন; ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেলিম আলী; মরক্কোর সাবেক পরিবেশ মন্ত্রী হাকিমা এল হাইতে এবং জিনো ভ্যান বেগিন। সূত্র : ডেইলি সাবাহ্।
আরও পড়ুন : রোহিঙ্গাদের পেছনে সরকারের এ পর্যন্ত ৯ হাজার ৩৭৬ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে
বিএনএনিউজ২৪, এমএইচ, এসজিএন