বিএনএ, লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রায়ই ঘুম থেকে উঠে দেখছেন ঘাড়ব্যথা হচ্ছে। ঘাড়ের পেশি শক্ত হয়ে গেছে। অনেকে ভাবে বেকায়দায় ঘুমের কারণে এমনটা হচ্ছে। কিন্তু না প্রায়ই এই সমস্যার কারণ আপনার বিছানার বালিশ। আরামদায়ক বালিশ না হলে ঘুমের সমস্যা এবং পেশি শক্ত হয়ে ঘাড়ব্যথা হতে পারে। ভুল বালিশে শোয়া বন্ধ করুন। বিছানা ও বালিশ আরামদায়ক না হলে এটি হাড়ের দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগাতে পারে।
ঘাড়ব্যথায় ওষুধ-ডাক্তার সবই যখন বৃথা যায়, বাড়ির বালিশ এর মোক্ষম ওষুধ। সঠিক বালিশ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা কিছু নিয়ম জানিয়েছেন, যা থেকে আপনি জেনে নিতে পারেন, স্বাস্থ্যের জন্য় কোনো ধরনের বালিশ উপকারী।
১. খুব নরম বা শক্ত বালিশে ঘুমাবেন না। দুটোই খারাপ। ঘাড়ের পক্ষে ক্ষতিকর।
২. বেশি উঁচু বালিশ ব্যবহার করবেন না। ঘাড় ও মাথায় ব্যালেন্স থাকে না। এতে ঘাড়ের পেশি শক্ত হয়ে যায়।
৩. বালিশে ঘুমানোর আগে শুয়ে দেখুন। ঘাড়ে বেশি চাপ লাগলে সেই বালিশ একেবারেই ব্যবহার করবেন না। কাঁধে ও পিঠের ব্যথা বাড়বে।
৪. অনেকেই ফোমের বালিশ ব্যবহার করেন কিন্তু তা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কার্পাস তুলোর বালিশ কিনুন শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী।
৫. যাদের কাঁধ চওড়া তাদের বড় বালিশ ব্যবহার করতে হয়। মাঝারি ঘাড় যাদের তারা ছোট বা মাঝারি মাপের বালিশ ব্যবহার করতে পারেন। তবে আগে দেখে নিন বালিশটি আপনার ঘাড়ে চাপ ফেলছে কি না। পুরুষদের কাঁধ একটু বেশি চওড়া হওয়ায় তাদের বালিশও চওড়া হওয়া ভালো।
৬. ঘুমের মধ্যে নাক ডাকছেন? এটিও বালিশের কারণেই হচ্ছে? এ ক্ষেত্রে অ্যান্টি স্নোরিং বালিশ ব্যবহার করতে পারেন।
৭. পাশ ফিরে শোওয়ার সময় কাঁধের সঙ্গে গলার দূরত্ব রাখাটা বাঞ্ছনীয়। তেমনই বালিশের সঙ্গেও কাঁধের ততটাই ফারাক রাখা উচিত। অর্থাৎ ঘাড়ের ওপরের অংশ ও বালিশের শেষ ভাগ যেন একে অপরকে স্পর্শ করে। ঘুমানোর সময় বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
৮. বালিশ অতিরিক্ত পরিমাণে বড় হলে মাথা আরও আরও ঝুঁকবে। এর অর্থ এই যে সুপারিন পজিশনে ঘাড়ের দীর্ঘ প্রসারিত প্রসারিত হবে, রক্তনালি এবং স্নায়ু সংকুচিত হবে, এবং জয়েন্টগুলো এবং মেরুদণ্ডেও একটি ভুল বোঝা থাকবে।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ