বিএনএ, ঢাকা : রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পূর্ব শত্রুর জেরে দুষ্কৃতকারীরা বিল্লাল গাজী (২৮) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিংয়ের বি ব্লকের ৪ নাম্বার রোডে এ ঘটনা ঘটে। এরপর স্থানীয়রা আহত বিল্লালকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে ময়নাতদন্তের শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিল্লাল গাজী আকাশ নীলা ওয়েস্টার্ন হাউজিং এর কর্মচারী ছিলেন। তিনি চাদঁপুর জেলার গুলিশা গ্রামের মৃত রহিম গাজীর ছেলে।
এবিষয়ে হাউজিং কর্তৃপক্ষ জানান , গ্রামবাংলা হাউজিং এর স্টাফ মহিউদ্দিন রবিবার বিকালে বিল্লাল’কে, হুমকি দিয়ে বলে, ‘আজকেরই তোর শেষ ডিউটি। এর পরই ওইদিন রাতে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। কিন্তু তাকে যে হত্যা করা হবে বিষয়টি তখন বুঝতে পারেনি বিল্লাল। রবিবার আকাশ নীলা ওয়েস্টার্ন হাউজিং থেকে ডিউটি শেষ করে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় রাত ১০ টা পর্যন্ত ঘুরাঘুরি করে বিল্লাল। রাত এগারোটার সময় তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে নবোদয় হাউজিং ৪ নাম্বার রোডে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় কয়েকজন যুবক।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেন, এই হত্যায় অংশ নেয় ৯ জন। এরা হচ্ছে, আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার:(কব্জীকাটা গ্রুপের প্রধান), রাফাত, বিল্লাল ওরফে ভাগিনা বিল্লাল, তুষার, ইউনুস, সাকিল, হাসান, বিপ্লব, মাসুম ওরফে ময়মনসিংগা মাসুম এরা সবাই মোহাম্মদপুরের ত্রাস হিসেবে পরিচিত কব্জীকাটা গ্রুপের সদস্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এরা সবাই দিনের বেলায় সাধারণ মানুষের সাথে মিশে থাকে। রাতের বেলায় হয়ে ওঠে ভয়ংকর সন্ত্রাসী। এবং এরা বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানিগুলোর ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করে।
এবিষয়ে আকাশ নীলা ওয়েস্টার্ন হাউজিং এর চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান বলেন, গত ২০১৭ সালে রাজু ও ২০২০ সালে রিয়াদ নামের স্টাফদের খুন করা হয়। রবিবার আবার বিল্লালকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এর আগে এক স্টাফ’কে তুলে নিয়ে আটকিয়ে রাখা হয়েছিল বেশকিছু দিন। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার চাই।
তিনি আরো বলেন, ২০০১ সালে জমি ক্রয় করে ২০১০ সালে হাউজিং প্রতিষ্ঠা করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে গ্রামবাংলার নামে একটি কোম্পানি আমার হাউজিং এ সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখল নিয়ে নেয়। আওয়ামী লীগের আমলে আমি আমার নিজের করা হাউজিংয়ে ঢুকতে পারতাম না। এখন যেহেতু সরকার পরিবর্তন হয়েছে তাই এর সমাধান হবে কিন্তু এর মধ্যে আমার একটি স্টাফকে খুন করা হলো। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
এবিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান বলেন, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম/এইচমুন্নী