বিএনএ, ঢাকা: বিগত সরকারের শেষ সময়ে রপ্তানির তথ্যে গরমিল ছিল। ওই সময় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রপ্তানি তথ্যে অমিল ছিল। ওই তথ্য শিগগির সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে ইপিবির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণের একটি প্রজেকশনও তৈরি করতে ইপিবিকে বলা হয়েছে। রপ্তানি তথ্যসহ বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আগে রপ্তানির তথ্যে কিছু অমিল ছিল। আমি তাদের (ইপিবি) শেষ পর্যন্ত রপ্তানির তথ্য সমন্বয় করতে বলেছি। যত দ্রুত সম্ভব তা করা হবে। একটি প্রজেকশনও তৈরি করতে বলেছি যে, আমাদের রপ্তানি সামনে কত হবে। সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদ কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিল করায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করছে। জিডিপির বিষয়টি আমি দেখছি। এটা আমাদের উৎপাদনকে কেন্দ্র করে করা হয়, অনেক খাত জড়িত। প্রায় ১৯টি খাত। জিডিপির তথ্যেও কোন পরিবর্তন আসলে এটা আপনারা জানতে পারবেন।
শেষ অর্থবছরে ইপিবি তাদের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেনি, সেটি কবে করা হবে এমন প্রশ্নে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শিগগির ইপিবির বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সব বিষয় চূড়ান্ত করা হবে। ইপিবি কর্মকর্তারা রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্তকরণ এবং তথ্য সমন্বয়ে কাজ করছেন এবং বোর্ড সভায় সমস্ত বিষয় অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ছেঁড়া, জরাজীর্ণ মুদ্রা এবং ব্যাংক নোট বিষয়ে তিনি বলেন, এটি প্রায়শই ঘটে কারণ দেশবাসী তাদের নোটগুলিকে ভুলভাবে পরিচালনা করে। এখানে রাখে, ওখানে রাখে। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশে এমন অব্যবস্থাপনা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবো, তবে নতুন নোটগুলি না থাকলে, এখনই পুরনো মুদ্রা এবং ব্যাংক নোটগুলি প্রতিস্থাপন করা যাবে না।
বিএনএ,নিউজ/ রেহানা/ হাসনা