28 C
আবহাওয়া
৯:৩৫ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ড. ইউনূসের চিঠি প্রত্যাহার চায় সুপ্রিম কোর্ট বার

ড. ইউনূসের চিঠি প্রত্যাহার চায় সুপ্রিম কোর্ট বার

ড. ইউনূস

আদালত প্রতিবেদক: ড. ইউনূসের পক্ষে নোবেল বিজয়ীসহ রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের সদস্যদের খোলা চিঠিকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের আহবান জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির কার‌্যনির্বাহী কমিটির এক সভা থেকে আহবান জানানো হয়।

এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, বিচারাধীন মামলার বিষয় নিয়ে তারা যে চিঠি দিয়েছেন তা অনভিপ্রেত। এটি আমাদের দেশের আইন ও সংবিধান পরিপন্থী। আমরা এর জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সঙ্গে তাদের এ চিঠি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান এ আইনজীবী। গত ৩১ আগস্ট এই সভা অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি জানায়, কয়েকজন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং সুশীল সমাজের সম্মানিত সদস্য বিগত ২৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি খোলা চিঠি দিয়েছে।

চিঠিতে তারা বাংলাদেশের শ্রম আইনে ড. মুহাম্মদ ইউনুস-এর বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহবান জানিয়েছেন। তাদের এই চিঠি অসত্য তথ্য নির্ভর। তারা প্রকৃত সত্য জানলে এই চিঠি দিতেন না । এই চিঠি দেয়ার মধ্য দিয়ে তারা একদিকে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ করছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন। অন্যদিকে গরীব শ্রমিকের স্বার্থের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান গ্রহণ করেছেন। একজন দায়িত্ববান বিশ্ব নেতাদের কাছে এটি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনভিপ্রেত।

‘ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুন্ন, ট্যাক্স ফাঁকি এবং অন্য যে সকল বিচারিক কার্যক্রম চলমান আছে, তা আইন এবং ন্যায় বিচারের দাবী। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মনে করছে, তা যথাযথ কারণে এবং যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া অনুসরণের মধ্য দিয়েই চলছে। বিচার কার্যক্রমের কোন পর্যায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুস যদি সংক্ষুব্দ হন, তাহলে তার আইনী প্রতিকার বাংলাদেশের প্রচলিত আইনেই রয়েছে। উল্লেখ্য যে শ্রম আইনের মামলাসমূহ সরকার দায়ের করে নাই, তা অধিকার বঞ্চিত শ্রমিকরাই তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য দায়ের করেছে।’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আরও জানায়, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ। বিচারকরা স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবেই তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। শাসন বিভাগের কোন প্রকার হস্তক্ষেপ নেই। বাংলাদেশের সংবিধান একটি মানবিক দলিল। এই সংবিধান অনুযায়ী কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং সকলেই আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।

বিএনএনিউজ২৪/ এসবি/ এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ