বিএনএ, রংপুর: রংপুরে আওয়ামীলীগের জনসভায় জনতার ঢল নেমেছে। জনসভার কেন্দ্রস্থল রংপুর জিলাস্কুল মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে আশ-পাশের এলাকা ভরে গেছে। জনসভার স্থল জিলা স্কুল মাঠে তিল ধারণের স্থান নেই। দুপুর ১টা নাগাদ জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগেই মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। সকাল থেকেই দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে জনসভাস্থলে আসতে থাকে। দুপুরের আগেই মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য চলতে থাকে।
বুধবার (২ আগস্ট) সকাল থেকেই রংপুর নগরীসহ বিভাগের আট জেলার নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। দুপুর ১টার আগেই সভাস্থল জিলা স্কুল মাঠ ছাড়িয়ে নগরীর বিভিন্ন রাস্তা এবং সমাবেশ স্থলের আশপাশের এলাকাজুড়ে মানুষের ঢল নামে।
লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও রংপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আসছেন দলে দলে। বাস, ট্রেন, মাইক্রো বাস, পিকআপ ভ্যান, অটোরিকশা ও সিএনজি করে আসছেন তারা। অনেকে আসছেন হেঁটেও।
জনসভায় উপস্থিত আছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন ও সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ রংপুরে এসেছিলেন ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর। এ সময় তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জে দুটি নির্বাচনী জনসভা করেন। সাড়ে চার বছরের বেশি সময় পর তিনি আবার রংপুরে আসছেন।
এর আগে ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় রংপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। প্রতিশ্রুতির আলোকে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও যোগাযোগব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন রংপুরের পুত্রবধূ বঙ্গবন্ধুকন্যা।
বিএনএ/এমএফ/ হাসনাহেনা