বিএনএ, ঢাকা : হাইকোর্টের গঠন করে দেওয়া ইভ্যালি বোর্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, ব্যাংকের টাকা এবং ইভ্যালির যে সম্পদ আছে, তা দিয়ে দেনা মেটানো সম্ভব নয়। শুক্রবার (১ জুন) বিকালে ধানমন্ডির ইভ্যালির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, ইভ্যালির দুই ধরনের পাওনাদার রয়েছে। যারা সাপ্লাইয়ার আর যারা ক্লায়েন্ট। এখানে সাপ্লায়ারদের পাওনা বেশি। বর্তমানে ইভ্যালির যে সম্পদ রয়েছে তাতে পাওনাদারদের সন্তুষ্ট করা অসম্ভব।
ঢাকার সাভারে ইভ্যালির দুটি ওয়্যার হাউজে সর্বসাকুল্যে আনুমানিক ২৫ কোটি টাকার পণ্য রয়েছে। এছাড়া নয়টা ছোট পুরাতন কাভার্ডভ্যান ও ৫টা গাড়ি পেয়েছি। তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। যা পাওনাদারদের টাকার তুলনায় কিছুই না, এটা সমুদ্রের মতো পাওনাদের টাকা পরিশোধ অনেকটা এক ফোঁটা পানির মতো অবস্থা।
চলতি মাসের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলেও জানান বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, এক পাসওয়ার্ডেই আটকে আছে ইভ্যালির গ্রাহকদের অর্থ। বারবার ধরনা দিয়েও সিইও রাসেলের কাছ থেকে পাসওয়ার্ড উদ্ধার করতে পারেনি পরিচালনা পর্ষদ।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনের আগে ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ের সামনে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সিইও রাসেলের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকেরা। তাদের দাবি, ইভ্যালির রাসেলকে মুক্তি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দিলে প্রতিষ্ঠান ঘুরে দাঁড়াবে। গ্রাহকরা তাদের টাকা ফেরত পাবেন। মার্চেন্ডরাও পাবেন। মিলবে বিনিয়োগকারীও।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা এক মামলায় ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও সিইও রাসেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশ কয়েকটি মামলা হয়। বর্তমানে জামিনে আছেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন।
বিএনএনিউজ/এইচ.এম।