বিএনএ, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে সুতিয়া নদী থেকে উদ্ধার খন্ডিত দেহটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি শিক্ষার্থী ওমর ফারুক সৌরভের (২২)।
নিহত ওমর ফারুক সৌরভ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইগবাজ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামের ইউসুফ আলী আকন্দের ছেলে। সে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ’র শিক্ষার্থী। নিহত সৌরভ পরিবারের সাথে ঢাকার উত্তরা এলাকায় বসবাস করতেন।
রোববার (২ জুন) সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এদিন সকালে ময়মনসিংহ সদর ও মুক্তাগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী মনতলা ব্রীজের নিচে সুতিয়া নদী থেকে এক অজ্ঞাত তরুনের ৪ খন্ড মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় সুতিয়া নদী থেকে কালো রংয়ের একটি ট্রলি লাগেজ থেকে মরদেহের তিন খন্ড এবং পাশেই একটি বাজারের ব্যাগে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহের খন্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইগবাজ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, সৌরভ পরিবারের সাথে ঢাকায় বসবাস করে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি বিবিএ’তে লেখাপড়া করত বলে খোঁজ নিয়ে জেনেছি। তাদের কেউ গ্রামে থাকে না। এর মধ্যে সৌরভের বাবা ঢাকা এবং মো. ইলিয়াস নামে এক চাচা ময়মনসিংহ শহরে বসবাস করে।
তিনি আরও বলেন, এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের পরিবার তার চাচা ইলিয়াসকে দায়ী করছেন। এর কারণ হলো, চাচা ইলিয়াসের মেয়ের সাথে সৌরভের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে, ইলিয়াস বিষয়টি মেনে নিতে নারাজ ছিলেন। যে কারণে, তার মেয়েকে এক চিকিৎসকের সাথে বিয়ে দেন। এরপরেও মেয়ে সৌরভের প্রতি আসক্ত ছিল। এতে সৌরভের সাথে তার চাচার মেয়ের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। যোগাযোগ থাকার কারণে ওই মেয়ে তার স্বামীর বাড়িতে যায়নি। এসব কারণে সম্প্রতি চাচা ইলিয়াস তার মেয়েকে কানাডা পাঠিয়ে দেয়। সেখানে যাওয়ার পরেও নাকি তাদের যোগাযোগ ছিল।
পুলিশের ধারণা-পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই তরুনকে খুন করে মরদেহ চার খন্ড করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ইতোমধ্যে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশসহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন।
বিএন এনিউজ,হামিমুর রহমান হামিম /এইচমুন্নী