বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আরিফুল ইসলাম নামে এক জাপান প্রবাসীকে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। শনিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় ১/এ নাম্বার বাসার ২ নাম্বার রোডের সি ব্লকের ২০৩ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে বসুন্ধরা আবাসিকের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, তার বুক ও গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রোববার (২ জুন) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কানাডাপ্রবাসী পারভীন নামের এক নারীর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসাটি ভাড়া নেন আরিফুল। বাসাটি থেকে পাওয়া যায় নোটারি করা বিয়ের হলফনামা ও হাতে লেখা চিরকুট।
চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমার জীবনের শান্তি নষ্ট করে দিছে এই Rapist, Blackmailler। সে তার নিজের ইচ্ছায় আমার হাতে ধরা দিছে। নিজের হাতে Rapist, Blackmailler কে মেরে শান্তি নিলাম।’পরিবারের দাবি, আরিফুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, গত ১৭ মে বিকেল ৪টা ৯ মিনিটে আরিফুল ইসলাম ও পারভীন আক্তার একসঙ্গে ওই অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করেন। এরপর ১৮ মে ভোর ৬টা ৩১ মিনিটে বাসা থেকে একা বেরিয়ে যান পারভিন।
জানা গেছে, আরিফুল জাপান প্রবাসী, আর পারভীন থাকেন কানাডায়। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মাটি প্রপার্টিজ নামের একটি ভবনে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে অ্যাপার্টমেন্টে ভাড়া নেন তারা। ১৫ দিন পর শনিবার আরিফুলের মরদেহ মিলল ওই ফ্ল্যাটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরিফুলের পরিবারের এক সদস্য বলেন, পারভীনের সঙ্গে আরিফুলের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। তবে বাংলাদেশে আসা ও বিয়ের বিষয়টি পরিবার জানত না। জাপান থেকে আরিফুলের স্ত্রী আয়েশার ফোন পেয়ে অনুসন্ধান শুরু করে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজন কুমার সাহা বলেন, আরিফুলের বুক ও গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি। ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
এদিকে, প্রযুক্তির সহায়তায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পারভীনের সবশেষ অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ। হত্যার পর পারভীন কানাডায় ফিরে গেছেন বলে ধারণা তাদের।
বিএনএনিউজ/ আজিজুল হাকিম/ বিএম/ হাসনা