বিএনএ,চট্টগ্রাম: দেড় মাস আগে ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি ও মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেন নুরুল কবির জাকুয়া ও তৌহিদুল আলম নামে দুই চিহ্নিত চাঁদাবাজ। জামিনে বেরিয়ে তারা আবারও ওই ঠিকাদারের ওপর চড়াও হয়। ‘ছুরি মেরে ভুড়ি ফেলে দেওয়ার’হুমকি দেয় তারা। বাদিকে ফের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২ জুন) দুপুরে ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদে বিদ্যুৎ ভবনের ফটক থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি জানিয়েছেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।
গ্রেপ্তারকৃত নুরুল কবির জাকুয়া (৪৫) চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকার মৃত নুরুল আলম সওদাগরের ছেলে ও মো. তৌহিদুল আলম (৪০) নগরীর আগ্রাবাদ ডেবার দক্ষিণ পাড় এলাকার মাহবুবুল আলমের ছেলে। এছাড়া নির্যাতনের শিকার মো. বশির উদ্দিন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। তিনি মেসার্স সালিহিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক।
ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, গত ১২ মে নুরুল কবির ও তৌহিদুল জামিনে মুক্তি পায়। আজ (বুধবার) তারা আবার পিডিবি ভবনে যায়। সেখানে তারা বশির উদ্দিনকে দেখে আবারও ঘিরে ধরে।
তিনি বলেন, বশির উদ্দিনকে জিম্মি করে হুমকি দিতে থাকে। কেন ওইদিন ঘটনাটা পুলিশকে জানিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করালো, এজন্যই মূলত ক্ষোভ। ছুরি মেরে ভুড়ি ফেলে দেওয়ার হুমকি দেয়। এবারও কৌশলে বশির পুলিশকে বিষয়টি জানান। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই জনকে গ্রেপ্তার করি।
ওসি মহসীন বলেন, স্থানীয় বা মহানগরে কোন পদ-পদবি না থাকা সত্ত্বেও গ্রেপ্তারকৃতরা নিজেদের যুবলীগ নেতা বলে পরিচয় দেয়। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১৯ এপ্রিল বশির উদ্দিনকে পিডিবি ভবনের একটি কক্ষে আটকে নির্যাতন করে কথিত যুবলীগ নেতা মোস্তফা কামাল টিপুর কয়েকজন অনুসারী। তাদের দাবি, পিডিবির সকল কাজের দুই শতাংশ হারে চাঁদা তাদের দিতে হবে। নির্যাতনের সময় বশির কৌশলে পুলিশকে ফোন করেন। এসময় পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধারের পাশাপাশি ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে।
বিএনএনিউজ/মনির