বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসাপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে চলমান অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার (২ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় চমেক হাসপাতাল পরিচালকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সব দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। তাদের অনেকগুলো দাবির মধ্যে একটি দাবি ছিল- বহিরাগতদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এজন্য তারা তিন দিনের সময় দিয়েছেন। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে, আশা করা হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুতই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনবে।
ইন্টার্ন ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ডা. তাজওয়ার রহমান বলেন, আমরা আপাতত কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তিন দিনের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে পুনরায় কর্মবিরতিতে যাবো।
বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা হলো— উপ পরিচালক, চমেক হাসপাতালকে সভাপতি করে দোষীদের সনাক্তকরণের জন্য কমিটি গঠন। চমেক ও হাসপাতালে-ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েন করে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ। ইন্টার্ন ডাক্তারদের বাধ্যতামূলকভাবে আইডি কার্ড বহন করা। ডা. মিজান হোস্টেলে পুলিশ মোতায়েন করে ইন্টার্ন ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ইন্টার্ন ডাক্তারদের জন্য মিজান হোস্টেলের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং আনসার নিয়োগ করে হোস্টেলের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সার্বিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। চমেক ও হাসপাতাল ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারসহ বহিরাগত যে কোন অপশক্তির উস্কানি বা সরাসরি জড়িতদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
বৈঠকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আখতার, পুলিশের ৫ কর্মকর্তা, চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাতে চমেক ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে দুইজন ইন্টার্ন ডাক্তারসহ পাঁচজন আহত হন। এরমধ্যে চমেকের ৫৭তম ব্যাচের ইন্টার্ন ডাক্তার ও বর্তমান সভাপতি হাবিবুর রহমানও রয়েছেন। এর জের ধরে গত বুধবার থেকে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
বিএনএনিউজ/মনির