বিএনএ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি যার ভিত্তি বঙ্গবন্ধুই স্থাপন করে যান। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন রাঙামাটির বেতবুনিয়াতে তিনি দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করেন।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীর পিতা চেয়েছিলেন এদেশের মানুষের উন্নয়ন করার, এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করার। কিন্তু তিনি সেটা করে যেতে পারেননি। পঁচাত্তরে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সে সময়ে প্রাণ হারান আমার পরিবারের ১৮ জন সদস্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সে সময়ের বাজেটে শিক্ষার জন্য ২১ শতাংশ বরাদ্দ রাখেন। আমাদের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. কুদরত ই খুদার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শিক্ষাক্ষেত্রের ব্যয়কে দেশের বিনিয়োগ হিসেবে দেখতেন। তিনি ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করেন। কৃষি, বিজ্ঞান, গবেষণা ও উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ তিনি নিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭৪ সালে আনবিক শক্তি বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার সে বিষয়ে কাজ শুরু করি। মাত্র ৫ বছরে আমরা সে কাজ সম্পন্ন করতে পারিনি। কিন্তু পরেরবার ক্ষমতায় এসে আমরা সে অধিকার বুঝে নিয়েছি। জাতীর পিতা শুধু করেই দিয়ে যাননি, আমাদের জন্য সবকিছুর ভিত্তি প্রস্তর করে গেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। শুধু তাই নয়, বিদেশ থেকে জ্ঞান আহরণ করে যেন দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে সে ব্যবস্থাও আমরা করেছি।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করছি। এখানে থেমে থাকলে চলবে না। নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কোনোভাবেই পিছিয়ে পড়ব না, কারো কাছে হাত পেতে চলব না। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ১০ জনকে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, ২১ জনকে এনএসটি ফেলোশিপ ও ১৬ জনকে বিশেষ গবেষণা অনুদানের চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনএ/এমএফ