বিএনএ ডেস্ক: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও এক ছাত্র ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে।
উপজেলার চতুল ইউনিয়নের রাজাপুর রাজাবেনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এস এম আব্বাস হোসেনের নাম আসে বৃত্তির তালিকায়।
এস এম আব্বাস হোসেন বৃত্তি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু আহাদ।
বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল সারা দেশে গত মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ঘোষণা করা হলেও ওইদিন সন্ধ্যার আগে সারা দেশের ঘোষিত ফলাফল স্থগিত করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজাপুর রাজাবেনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এস এম আব্বাস হোসেন (রোল নম্বর-২৬৩) নামের যে শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে; সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যে তিনজন পরীক্ষায় অংশ নেয় তারা ফেল করেছে।
এ ব্যাপারে রাজাপুর রাজাবেনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিখা রানী চন্দ্র বলেন, ‘এস এম আব্বাস হোসেন অসুস্থ থাকার কারণে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। তবে কীভাবে তার রোল নম্বরটি পরীক্ষার ফলাফল শিটে এসেছে তা বলতে পারব না।’
বোয়ালমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু আহাদ বলেন, ‘বিভিন্ন ত্রুটির কারণে সারা দেশের প্রাথমিকের বৃত্তির ফলাফল স্থগিত করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর বোয়ালমারীর এক শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও সে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে বিষয়টি জানতে পেরেছি।’
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার জন্য ১৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৭৩২ জন তালিকাভুক্ত হয়। সেখান থেকে ৭৩২ জন বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এ উপজেলা থেকে ৪৮ জন পরীক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। যার মধ্যে ২৪ জন রয়েছে ছাত্র ও ২৪ জন ছাত্রী।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ