তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে কোন কৌশল, নীতিমালা ও আইন দরকার হবে সে বিষয়ে এখনই কর্মপন্থা নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও সুযোগ্য নেতৃত্ব একটি জাতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য সুনির্দিষ্ট চারটি স্তম্ভ স্থির করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
বুধবার( ১ ডিসেম্বর) আইসিটি বিভাগের সভাকক্ষে সরকারি দপ্তরে তথ্য ও সেবা প্রদান বিষয়ক ‘ই-গভর্ন্যান্স বিধানাবলি’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এ সব কথা বলেন।
গ্রন্থটি সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক ড. আব্দুল মান্নান ও অর্থ বিভাগের উপসচিব ড. শিরিন সবনম।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের দপ্তর ও সংস্থা প্রধান এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। বইটির ওপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, কানেক্টিভিটি, ই-গভর্মেন্ট এবং আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি প্রোমোশন এ সুনির্দিষ্ট চারটি শক্তিশালী স্তম্ভের ওপর দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত দাঁড়িয়েছে। এ চারটি স্তম্ভের মধ্যে ই-গভর্মেন্ট অন্যতম একটি শক্তিশালী এবং প্রয়োজনীয় স্তম্ভ। সরকারি কর্মকর্তারা তাঁদের যোগ্যতা, দক্ষতা, শ্রম ও মেধার বিনিময়ে আমরা এ স্তম্ভটিকে একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাড় করাতে পেরেছি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সচিবালয় থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত সরকারের সকল দপ্তরে প্রায় ৫২ হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে। দেশের মানুষ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করতে পারছে। ৮ হাজার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে ১৬ হাজার উদ্যোক্তা দেশের মানুষকে সরকারি সেবা দিচ্ছে।
বাংলাদেশে এই প্রথম ই-গভর্ন্যান্স সংক্রান্ত আইন, বিধিমালা, নীতিমালা, নির্দেশিকা এবং গুরুত্বপূর্ণ পরিপত্র ও প্রজ্ঞাপনের সমন্বয়ে বইটি প্রকাশিত হয়। যেটি সরকারি দপ্তরে দক্ষতার সঙ্গে তথ্য ও সেবা প্রদান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। এছাড়া মাঠ ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের প্রয়োজনীয় বিধি-বিধানসমূহ এই বইয়ে পাওয়া যাবে ।
ই-গভর্ন্যান্স বিধানাবলি সংকলনটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হতে জারিকৃত ই-গভর্ন্যান্স সংক্রান্ত মোট ১৫টি আইন, ০৮টি বিধিমালা, ১২টি নীতিমালা, ০৮টি কৌশলপত্র, ১৬টি নির্দেশিকা এবং ৩০টি পরিপত্র ও অফিস স্মারক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।