26 C
আবহাওয়া
১১:৪২ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ওসি প্রদীপ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত

ওসি প্রদীপ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত

ওসি প্রদীপ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত

বিএনএ, চট্টগ্রাম : টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দুদকের দাখিল করা অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ শেখ আশফাকুর রহমান শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আদালতে প্রদীপ কুমার দাশকে বিমর্ষ দেখা যায়। গত ২৬ জুলাই আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, সাবেক ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণ বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে ২৬ জুলাই। আজ শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত। ওসি প্রদীপ জামিনের আবেদন করেছে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন।

ওই মামলায় ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণ বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও অন্যকে হস্তান্তর এবং ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে আদালতে।

গত ২৯ জুন চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান ওসি প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব দেন কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে।

২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রদীপ ও তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। গত বছরের সালের ২৩ আগস্ট প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন।

এতে তার স্ত্রী চুমকিকেও আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে  টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নির্দেশে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ।

হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর: এসটি-৪৯৩/২০২১); (জিআর মামলা নম্বর: ৭০৩/২০২০) ও টেকনাফ মডেল থানা মামলা নম্বর: ৯/২০২০ ইংরেজি)।

বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান, টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে দ্বিতীয় ও মামলার তিন নম্বর আসামি করা হয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিতকে। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব-১৫।

হত্যাকাণ্ডের পর চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে, ৮৩ জনকে সাক্ষী করে আলোচিত মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।

মামলায় অভিযুক্ত ও কারাগারে আটক থাকা ১৫ আসামি হলেন, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাগর দেব, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিএনএনিউজ২৪/আমিন

Loading


শিরোনাম বিএনএ