বিএনএ, ববি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ‘ছাত্র-শিক্ষক সংহিতি সমাবেশে’ বাঁধা দিয়েছে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ। এসময় পুলিশ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সমন্বয়কসহ ১২জন শিক্ষার্থীকে তুলে নেন। তাদের মধ্য তিনজন নারী শিক্ষার্থীও রয়েছেন।
এদের মধ্যে রয়েছেন বৈষাম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সুজয় বিশ্বাস শুভ, তমাল, সিবাত আহমেদ, সুজন, সজিব, অনিকা, ভূমিকা সরকারসহ অন্যান্যরা।
বৃহস্পতিবার ( ১ আগস্ট) বেলা ১১টায় শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের বাঁধা দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি গেটের সামনে পুলিশ ও মেইনগেটের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ভিসি গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদেরকে বাঁধা দেয়। এসময় পুলিশ আন্দোলনের সমন্বয়কসহ ১২ শিক্ষার্থীকে তুলে নেন। অপরদিকে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইনগেটে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে কর্মসূচি পালনে বাঁধা দেন। এসময় কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা যায়।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইনগেটের সামনে আটকে দেয় ছাত্রলীগ। এসময় ছাত্রলীগের আরাফাত, রিদম ও শান্ত আমাদেরকে অকথ্যভাষায় গালাগালি করেন ভয়ভীতি দেখান এবং ধাক্কা দিয়ে হটিয়ে দেন।”
সংবাদ সংগ্রহের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দু’জন সাংবাদিককে লাঞ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামধারী কিছু ছাত্রলীগকর্মী। এসময় তারা আরটিভির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আজমাইন সাকিবকে শিবির বলেও ট্যাগ দেন এবং গালিগালাজ করেন ছাত্রলীগ কর্মী ইরাজ শরীফ ও শওকত। এছাড়াও ঢাকা টাইমসের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদককে মাসুদকে লাঞ্ছিত করেছেন ছাত্রলীগ নেতা আবুল খায়ের আরাফাত।
সাংবাদিক লাঞ্চিত বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে আবুল খায়ের আরাফাত বলেন, আমি কোন সাংবাদিক লাঞ্চিত করিনি। ঐ ছেলেটা আমার ক্যাম্পাসের ছোট ভাই তাই ডেকে কথা বলতে চাচ্ছিলাম।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল বলেন, আজ শিক্ষার্থীদের একটি কর্মসূচি ছিল। তাদের ওপর হামলা হতে পারে এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাদের নিরাপত্তার স্বার্থেই সাময়িকভাবে ১২জন শিক্ষার্থীকে বন্দর থানায় রাখা হয়েছে, তাদেরকে আটক করা হয়নি। বিকেলের দিকে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আব্দুল কাইউম বলেন, আমাদের ১২জন মতো শিক্ষার্থীকে বন্দর থানায় রাখা হয়েছে বিষয়টি আমি জানি। এই বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলছি।
বিএনএনিউজ/ রবিউল/ বিএম