বিএনএ, চট্টগ্রাম: মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় চট্টগ্রামে বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এ অবস্থায় পাহাড়ধসের সতর্কবার্তা থাকলেও পাহাড় ছেড়ে কেউ যায়নি আশ্রয়কেন্দ্রে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ভোররাত থেকে শুরু হয় ভারী বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে।
একইসাথে উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে নগরের কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়ে রাস্তাঘাটে পানি জমে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী ও যাত্রীরা। সকালে নগরের জিইসি মোড়, প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ, চকবাজার, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, কাপাসগোলা, শুলকবহর, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ বেশ কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে গেছে। গাড়ি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
জিইসি মোড়ে দুর্ভোগে পড়া আসলাম হোসেন বলেন, এখানে সিটি ব্যাংক এলাকা থেকে সেন্ট্রাল প্লাজা পর্যন্ত রাস্তার নিচে প্রায় ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের নালা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। এতে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে যায়।
অপরদিকে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় নগরের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়গুলোতে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক। পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির তথ্যমতে, নগরের ২৬টি পাহাড়ে ৬ হাজার ৫৫৮টি ঝুঁকিপূর্ণ বসতি রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বসতি আছে আকবরশাহ থানার ১, ২ ও ৩ নম্বর ঝিলসংলগ্ন পাহাড়গুলোতে। পাহাড়ধসের ঝুঁকি মাথায় নিয়েই পরিবারগুলো সেখানে বসবাস করছে।
নগরের লালখান বাজার টাংকির পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা বাসা ছেড়ে কিছু বাসিন্দা লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে চলে এসেছে বলে জানা গেছে।
বিএনএনিউজ /রেহানা/ বিএম/হাসনা