বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটসহ ২ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ নিয়ে এই মামলায় ৫২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এদিন সাবেক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহান ও মামলার দ্বিতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সাক্ষ্য দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আবদুর রশীদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মিতু হত্যা মামলায় আজ দুইজন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। তাদের মধ্যে একজন সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহান। উনার সাক্ষ্য জেরা সমাপ্ত হয়েছে। অন্য সাক্ষী মামলার দ্বিতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের সাক্ষ্য সমাপ্ত হয়েছে তবে জেরা আগামীকাল হবে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে বাসা থেকে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় মাহমুদা খানম মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
স্ত্রী খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাত ঘুরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার তদন্তভার পড়ে পিবিআইয়ের ওপর। ২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। এরপর বাবুল আক্তারের মামলায় আদালতে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, তদন্তে ঘটনার সঙ্গে বাদী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। একই দিন মিতুর বাবা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই সময় পিবিআই হেফাজতে থাকা বাবুল আক্তারকে মোশাররফের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই। এরপর ১০ অক্টোবর অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত।
বিএনএ/এমএফ/এইচমুন্নী