29 C
আবহাওয়া
৪:১১ অপরাহ্ণ - জুলাই ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » জাহাজভাঙা শিল্প: চিকিৎসার অভাবে ৯ বছরে ১২৪ শ্রমিকের মৃত্যু

জাহাজভাঙা শিল্প: চিকিৎসার অভাবে ৯ বছরে ১২৪ শ্রমিকের মৃত্যু


বিএনএ,চট্টগ্রাম: জাহাজভাঙা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ভাটিয়ারীতে শ্রমিকদের জন্য একটি হাসপাতাল তৈরি করা হলেও সেটি এখন বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ভাড়া দেয়ায় জাহাজভাঙা শ্রমিকরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া জাহাজভাঙা শিল্পে আহতরা বেশির ভাগ সময় চিকিৎসা সুবিধা ও অন্যান্য আইনগত ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত থাকে। ভারী পদার্থ নিয়ে কাজ হয় বিধায় এই শিল্পটি ঝুঁকিপূর্ণ। এই শিল্পকে দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও ইয়ার্ডের অবকাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

রোববার (৩০ জুন) সকালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ইপসা এইচআরডি সেন্টারে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে এম রফিকুল ইসলাম।

এ সময় তিনি বলেন, শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট মালিক-শ্রমিক এক হয়ে সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে যেকোন কঠিন সমস্যা সমাধান করা সহজ হয়।

জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা লুৎফুন্নেছা, সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলাল, কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আল মামুন, জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দিন, জাতীয় শ্রমিক লীগ সীতাকুণ্ড-বাড়বকুণ্ড আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মাহাবুবুল আলম ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ ম জামাল প্রমুখ।

উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জাহাজভাঙা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ভাটিয়ারীতে একটি হাসপাতাল তৈরি করা হলেও সেটি এখন বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ভাড়া দেয়ায় জাহাজভাঙা শ্রমিকেরা চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উক্ত হাসপাতালটি আরো আধুনিক এবং মানসম্মত করে তা জাহাজভাঙা শ্রমিকদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানানো হয়। এ ছাড়া আহত শ্রমিকদের দ্রুত ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতকল্পে জাহাজভাঙা শিল্প এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক এ্যাম্বুলেন্স রাখার দাবি জানানো হয়। সভায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে মালিকের মৌখিক নির্দেশে চাকরিচ্যুত ১৫ জন শ্রমিককে গ্রিভ্যান্স সাপোর্ট দেয়ার কথা বলা হয়।

অনুষ্ঠানে জাহাজভাঙা শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা এবং গ্রিভ্যান্স সাপোর্ট বিষয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত ১২৪ জন শ্রমিক নিহত হয়। তবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে ১৩.৫৫ জন শ্রমিক নিহত হলেও চলতি বছর জুন পর্যন্ত মাত্র ১ জন শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে এ বছরের প্রথম ৬ মাসে জাহাজভাঙা শিল্পটির সেক্টরে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা ও শ্রমিকের মৃত্যুর হার দুটোই কমেছে বলে প্রতীয়মান হয়। যদিও এই সেক্টরে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকের নিরাপত্তা বিষয়ে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বলা যায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, জাহাজভাঙা শিল্প সেক্টরে পূর্বের তুলনায় ব্যবসা কমে যাওয়ায়- দুর্ঘটনার ও শ্রমিক মৃত্যুর হার কমে গেলেও দুর্ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য গোপনের যে প্রবণতা পূর্বে ছিল তা এখনো বিদ্যমান রয়েছে।

বিএনএনিউজ/নাবিদ,ওজি/ হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ