বিএনএ, চট্টগ্রাম: ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না’ বলে মন্তব্য করায় বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড.রফিকুল হায়দারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে ২৩ জুলাই প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো.জহিরুল কবিরের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তিনি গত ২০ মে ফেসবুকে ১৯ এপ্রিল ও ২৮ মার্চ দুটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখতে পান। এসব প্রতিবেদনের একটি শিরোনাম ছিল ‘সাকা চৌধুরি কখনো যুদ্ধাপরাধী ছিল না : ড. রফিকুল হায়দার’ এবং আরেকটির শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক যুদ্ধাপরাধীদের নিরপরাধ দাবি করে বক্তব্য’।
বাদী আরও উল্লেখ করেন, ড. রফিকুল হায়দার বিএফআরআইয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে নিরপরাধ বলে দাবি করেছেন। তার বক্তব্যের ৪৪ সেকেন্ডের একটি অডিও ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ভাইরাল হয়। অডিওতে বাদী শুনতে পান, ‘সালাউদ্দিন কাদের যুদ্ধাপরাধী ছিল না। ভালো মানুষ ছিল। তার এলাকায় খবর নাও। তার একটাই দোষ হাসিনাকে আঘাত করেছে সংসদে দাঁড়িয়ে।’
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী ছিল না বলে দাবি করায় বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রফিকুল হায়দারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে ২৩ জুলাই প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিএনএ/এমএফ