বিএনএ, চট্টগ্রাম: বিদ্যালয়ের দপ্তরী পদে চাকুরী নেওয়াকে কেন্দ্র করে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান খান ওরফে পিন্টুকে (৪৭) দীর্ঘ ১৭ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার (৩১ মে) ফেনী জেলার সোনাগাজী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এ তথ্য জানায়।
গ্রেপ্তার পিন্টু ফেনী জেলার সোনাগাজী থানার সফরপুর গ্রামের মৃত আইয়ুব খানের ছেলে।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিহত মাহবুবুল হক (৪৫) সোনাগাজীর সাইবার হাট আলহাজ শফিউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে চাকুরীর নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এর জেরে প্রতিপক্ষ তাকে উক্ত চাকুরী ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করে। চাকুরী না ছাড়লে ২০০২ সালের ২২ এপ্রিল দুপুর আনুমানিক পৌনে ২টায় মাহবুবুল হককে বিদ্যালয়ের মাঠের পূর্বপার্শ্বে সন্ত্রাসীরা গুলি করে। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ছুরি দিয়ে বুকে এবং পিঠে আঘাত করে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাহবুবুলের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া বাদী হয়ে ফেনী জেলার সোনাগাজী থানায় ১০ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকার্য চলাকালীন সময়ে প্রধান আসামী আসাদুজ্জামান খান ওরফে পিন্টু আদালত থেকে জামিন নিয়ে ২০০৬ সাল থেকে আত্মগোপনে চলে যায়। আসামীরা দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় বিজ্ঞ আদালত পুলিশের তদন্ত এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্য শেষে আসামীদের অনুপস্থিতিতে গত ২০১১ সালের ৩০ মে মাহবুবুল হককে হত্যার দায়ে আসামী আসাদুজ্জামান খান ওরফে পিন্টুসহ ৫ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান এবং ৫ জনকে খালাস প্রদান করেন।
র্যাব আরও জানায়, হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে র্যাব। আসামী আসাদুজ্জামান খান ওরফে পিন্টু ছদ্মনামে ফেনী জেলার সোনাগাজী এলাকায় অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব বুধবার (৩১ মে) ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে পিন্টু হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী বলে স্বীকার করে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।গ্রেপ্তার আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/বিএম