লাইফস্টাইল ডেস্ক: ক্যালেন্ডারের পাতায় চলছে (জৈষ্ঠ) মধুমাস। এ সময় বাজারে পাওয়া যায় প্রচুর রসালো ফল। ফলের রাজা কাঁঠাল হলেও জনপ্রিয়তায় সবার ঊর্ধ্বে রয়েছে আম। আম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। বছরের এই মৌসুমের জন্য অপেক্ষায় থাকেন আমপ্রেমীরা। আমের গ্রহণযোগ্যতায় ঈর্ষাণিত হয়েই বুঝি বলা হয় ‘আম জনতা’।
তবে একসঙ্গে বেশি আম কিনলে অনেক সময় সংরক্ষণ করাও বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তবে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করলে অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে আম। চাইলে মৌসুম শেষে সংরক্ষিত আম খেতে পারবেন ইচ্ছামতো।
ফ্রিজে আম রাখতে চাইলে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
১. প্রথমে বাছাই করা আমগুলো ভালো করে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন।
২. আম টুকরো করে কেটে নিন। আঁটির চারপাশ থেকে আম কেটে নিয়ে আঁটি ফেলে দিন। এবার বক্সে আমের টুকরো নিয়ে মুখবন্ধ করে নিন শক্ত ঢাকনা দিয়ে। রেখে দিন ডিপ ফ্রিজে।
৩. জিপলক ব্যাগেও আম সংরক্ষণ করতে পারেন। এ জন্য আম ছোট টুকরা করে কেটে জিপলক ব্যাগে নিন। মুখবন্ধ করে সামান্য একটু ফাঁকা রাখুন। ওই ফাঁকা অংশ দিয়ে স্ট্র ঢুকিয়ে ভেতরে থাকা বাতাস বের করে মুখ পুরোপুরি সিল করে দিন। রেখে দিন ফ্রিজারে। এক একটি ব্যাগে বেশি আম না রেখে অল্প অল্প করে রাখুন। স্বাদের কোনো পরিবর্তন ছাড়াই সারা বছর খেতে পারেন পাকা আম।
৪. আম আস্তভাবেও সংরক্ষণ করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে থেঁতলে যাওয়া, পচা ও পোকা ধরা আম বাদে ভালো পাকা আম সংগ্রহ করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন যাতে আমের ওপর কষ লেগে না থাকে। এবার নরম কাপড় দিয়ে আমগুলো মুছে নিন। শুকনো আমগুলো প্রথমে কাগজের ব্যাগে অথবা পত্রিকা দিয়ে মুড়িয়েও নিন। এরপর সেগুলোকে কাপড়ের ব্যাগে নিয়ে সবশেষে কাপড়ের ব্যাগটাকে পলিথিন ব্যাগে ঢুকিয়ে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন।
৫. চাইলে আম ব্লেন্ড করেও ফ্রিজে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। চায়ের কাপ, আইসক্রিমের কাপ কিংবা আইস কিউব বানানোর ছাঁচে আমের ব্লেন্ড ঢেলে নিন। সেটাকে ডিপ ফ্রিজে রাখুন। আম জমে শক্ত হয়ে গেলে বের করে নিন। এবার জমে যাওয়া আমের জুস জিপলক ব্যাগে ঢুকিয়ে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।
কাঁচা ও পাকা দুই ধরনের আমই জ্যাম, জেলি বা আচার না বানিয়ে সংরক্ষণ করা যাবে। ফ্রিজে বরফ করে সংরক্ষণ করা গেলে একটু বেশি দিন খাওয়া যাবে।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ