বিএনএ ডেস্ক: পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে দেশের ভেতরের-বাইরে অনেক চাপ ছিল। জনগণ ও তাদের আশীর্বাদ ছিল বলেই পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেকের বৈঠকে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১ জুন) শেরে-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
দুই বছরেরও বেশি সময় পর সশরীরের একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা শনাক্তের পর থেকে আর সশরীরে একনেক বৈঠকে উপস্থিত হননি প্রধানমন্ত্রী। এতদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে যুক্ত হয়ে উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিতেন তিনি। আজকের বৈঠকে সশরীরেই উপস্থিত হন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়ে গেল। জনগণ পাশে ছিল ও তাদের আশীর্বাদ ছিল বলেই পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে। দেশের ভেতরের-বাইরের অনেক প্রতিকূলতা ছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কাজটা করতে পেরেছি। এতে আনন্দে আপ্লুত তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকলে তা সবাইকে পরিশোধ করতে হবে। পাওনা না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিতে হবে। বিদ্যুৎ বিল সরকারি-বেসরকারি সবাইকে অবশ্যই দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি স্থল বন্দরে আরও উন্নত করতে হবে। আধুনিক স্থাপনা ও সিস্টেম বসাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। গ্রামীণ সড়ক বাস্তবায়নের দিকে নজর দিতে হবে। নতুন সড়ক বানানো প্রয়োজন। তবে বিদ্যমান সড়ক আগে সংস্কার করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
একনেকে ২৬৬৫ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন…
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ প্রায় ২ হাজার ৬৬৫ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল কাজ এখনও শুরু হয়নি। তবে ৬ জুন মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই মেয়াদ ৪ বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ব্যয়ও বাড়ছে ৬৫১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এজন্য প্রথম সংশোধন করা হচ্ছে প্রকল্পটি। ফলে পৌনে ৫ বছরের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সময় যাচ্ছে প্রায় ৯ বছর।
এছাড়া ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর অনুমোদন দেয় একনেক। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কথা ছিল। সে সময় ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৯০১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কিন্তু নানা কারণে প্রকল্পটির মূল কাজই শুরু হয়নি। এরই মধ্যে রাজস্ব খাতের কয়েকটি অঙ্গের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধিসহ ডলারের বিনিময় মূল্য পরিবর্তনের কারণে এটির প্রথম সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এই সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এশিয়ান হাইওয়ে এলাইনমেন্টের মধ্যে অবস্থিত প্রস্তাবিত ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার সঙ্গে ৩০ জেলার সংযোগ স্থাপনকারী আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল-চন্দ্রা-করিডোরে যানজট অনেকটাই কমে যাবে
বিএনএ/ এ আর
