বিএনএ, ডেস্ক :নানা আয়োজনে সারা দেশে পালিত হচ্ছে মে দিবস । এ বছর মে দিবসের প্রতিপাদ্য-‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে।’ শোভাযাত্রা, শ্রমিক সমাবেশ, আলোচনা সভা, সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন বৃহস্পতিবার (১ মে) এই দিবসটি উদযাপন করছে।
পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিক ফেডারেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করছে।
মে দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীতে ‘শ্রমিক সমাবেশ’ করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সমাবেশ। শ্রমিক দলের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে রাখেন।
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে পল্টন মোড়ে শ্রমিক সমাবেশে যোগ দেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এ সমাবেশের আয়োজন করে।
ফেডারেশনের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সমাবেশে দলটির কেন্দ্রীয় ও মহানগরী নেতারাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন।
মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে মে দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের টেকসই উন্নয়নে দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। শ্রমিক ও মালিক পরস্পরের পরিপূরক। তাদের যৌথ প্রচেষ্টাই একটি শক্তিশালী, আত্মনির্ভর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে। তিনি বলেন, দেশের পোশাক খাত, কৃষি, শিল্প, নির্মাণ, পরিবহণ, প্রযুক্তি-প্রতিটি খাতের উন্নতির পেছনে রয়েছে শ্রমিক এবং মালিকের মেধা ও প্রাণান্তকর পরিশ্রম। এ দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে ঐক্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং আস্থার পরিবেশ সুদৃঢ় করতে হবে। আমরা ঐক্য ও সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখলে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে।
১৮৮৬ সালের এ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওই সময়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ঘিরে থাকা পুলিশের ওপর অজ্ঞাতনামা কেউ বোমা নিক্ষেপ করলে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায়। এতে ১০-১২ জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হন। ওই দিন তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিশ্বে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
বিএনএ/ওজি