বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম প্রান্তে সংস্কারাধীন কালুরঘাট সেতুতে এমভি সামুদা-১ নামের একটি লাইটারেজ জাহাজের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জব্দ করা হয়েছে জাহাজটি।
বুধবার (১ মে) রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী লিমন মজুমদার বাদী হয়ে রেলওয়ের জিআরপি থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহারে বেপরোয়া জাহাজ চালিয়ে ক্ষতিসাধনের অভিযোগ করা হয়। জাহাজটির ধাক্কায় কালুরঘাট সেতুর ওয়াকওয়ের রেলিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে কালুরঘাট সংস্কার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ম্যাক্স’।
সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ বলেন, কালুরঘাট সেতুতে ধাক্কা দেওয়া এমভি সামুদা-১ নামের জাহাজটি কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত একটি ডক ইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নদীর মধ্যে বাঁক ঘোরানোর সময় তীব্র বাতাস আর জোয়ারের কারণে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং বাতাসের তোড়ে ভাসতে ভাসতে কালুরঘাট সেতুতে এসে ধাক্কা খায়। এ ঘটনায় আমরা জাহাজটি জব্দ করেছি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, আমরা সেতুটি পরিদর্শন করে দেখছি। কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে। এ ঘটনায় প্রকৌশল বিভাগ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে ওই জাহাজ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জাহাজটি জব্দ করা হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বলেন, জাহাজের ধাক্কায় কালুরঘাট সেতুর তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে মূল স্ট্রাকচারে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত করে বের করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু করতে জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুটির সংস্কারের জন্য ২০২৩ সালের ১ আগস্ট থেকে সেতুতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এবার প্রথমবারের মত উভয় পাড়ে পথচারী চলাচলের জন্য জন্য সেতুতে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুর সংস্কার কাজ শেষ হলে জুন মাসে খুলে দেওয়া হতে পারে সেতুটি।
বিএনএনিউজ/ বাবর মুনাফ