16 C
আবহাওয়া
৪:১১ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » আনুষ্ঠানিকতায় বন্দী মহান মে দিবস

আনুষ্ঠানিকতায় বন্দী মহান মে দিবস


বিএনএ ডেস্ক : ‘শ্রমিক- মালিক গড়বো দেশ স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর পালিত হচ্ছে মে দিবস। ১মে আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় মে দিবসের কথা, স্মরণ করিয়ে দেয় দৈনন্দিন জীবনে শ্রমিকদের অবদানের কথা।

দেশে প্রতিবছর মে দিবস আসলেই তড়িঘড়ি কিছু কর্মসূচি নেওয়া হলেও বাস্তবায়ন হয় না তার অধিকাংশই। মে দিবস চলে গেলেই কর্তাস্থানীয়রা বেমালুম ভুলে যান তাদের করণীয়। এসব অবহেলিত-উপেক্ষিত শ্রমিক ও মে দিবসকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের রয়েছে নানা রকম ভাবনা।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনা কবির শ্রেষ্ঠা বলেন,” আমরা আশেপাশে যত বড় ছোট দালান অট্টালিকা দেখি তার মূল কারিগর শ্রমিক।
পহেলা মে শ্রমিক দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় শ্রমিকদের অবদান।
আমার বাসার পাশে নির্মাণাধীন ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ভাবি, “যারা এতো কষ্ট করে, প্রখর রোদে পুড়ে যে সুন্দর বাসা তৈরি করছে সেখানে তাদের বাস করার সৌভাগ্য কখনও হয় না।” তাদের শ্রমের জন্য আমরা আরামে থাকতে পারি।
আমরা তাদের সাহায্য না করতে পারি কিন্তু তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু তাদের আমরা চাইলেই দিতে পারি।
তাদের ছাড়া হয়তো এতো সুন্দরভাবে আমরা জীবনযাপন করতে পারতাম না। রিকশাচালক, দিনমজুরসহ সকল শ্রমিক ভাইবোনদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।”

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোরশেদুল আলম বলেন,”মহান মে দিবস পৃথিবীর সব শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। পুলিশ এতে গুলি চালালে ঘটনাস্থলে অনেক শ্রমিক মৃত্যুবরণ করেন। ওইদিন তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো শ্রমিক শ্রেণির অধিকার। মে দিবসের পথ ধরেই শ্রমিকদের নানা অধিকার অর্জিত হয়েছে। উন্নত দেশে শ্রমিকদের অধিকার অর্জিত হলেও বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশ এখনো শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত হয়নি। শ্রমিকরা তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে সারাদিন কাজ করে। যাদের শ্রমে, ঘামে গড়ে ওঠে অট্টালিকা। শ্রমিকের গড়া সেই অট্টালিকায় থেকেও তাদের কথা ভাবার সময় মেলে না কারো।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মারুফ শেখ বলেন,” মে দিবস শুধু মাত্র উদযাপন করার জন্য নয়। বরং এই মে দিবসের যে ইতিহাস সেই ইতিহাস তুলে ধরে আজও শ্রমিকশ্রেণির যে লড়াই সে লড়াইকে উজ্জীবিত করা দরকার। সারা পৃথিবীব্যাপী যে শ্রমিকশ্রেণী অর্থনীতিকে মুখ্যভাবে সচল রাখে আজ তারাই অবহেলিত। কিছুদিন আগেও দেখলাম গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ হামলা করে নির্মমভাবে শ্রমিক হত্যা করে। আজও শ্রমিকশ্রেণীকে দুবেলা দু-মুঠো খাওয়ার লড়াই চালাতে হয়। আর এ লড়াই শুধু শ্রমিকদের নয়, এ লড়াই বিবেকবান মানুষ হিসেবে প্রত্যেকেরই। তাই মে দিবসে রাষ্ট্রের অঙ্গীকার হোক শ্রমিকদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া, ন্যায্য পারিশ্রমিক দেওয়া, কর্মস্থলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করাসহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা তাদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া।”

বিএনএ/আদনান/হাসনা

Loading


শিরোনাম বিএনএ