বিএনএ, ঢাকা: বাধ্যতামূলক ২৪ ঘণ্টার ডিউটি থেকে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত দপ্তরি কাম প্রহরীরা। একই সঙ্গে তারা তিন দফা দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (১ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এই দাবি তুলেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নেতারা।
‘বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত দপ্তরি কাম প্রহরীবৃন্দ’র ব্যানারে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী কল্যাণ সমিতি ঢাকা বিভাগের সভাপতি মো. মজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রহরীরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। পৃথিবীর কোথাও নাই যে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে হবে। দিনে স্কুলের দপ্তরির কাজ করতে হচ্ছে এবং রাতে পাহারা দিতে হচ্ছে। বিগত ১০ বছর ধরে আমরা এ ডিউটি করছি। এরপরও দুই ঈদের কোনোটাতেই আমরা উৎসব ভাতা পাই না। ২০১২ সালের আউটসোর্সিং নীতিমালার অনুচ্ছেদ ১১/১ মোতাবেক নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীদের সরকারি ছুটি দেওয়ার কথা থাকলেও আমরা কোনো ধরনের ছুটি পাই না।
মজিবুর রহমান আরও বলেন, শুধুমাত্র স্কুল টাইমে আমরা ডিউটি করবো- হাইকোর্টের এমন নির্দেশনা থাকলেও মাঠ পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। রাতে বিদ্যালয় পাহারা দেওয়ার সময় যদি কোনো ধরনের চুরি হয় তাহলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার আমাদের নিতে হয়। বছরে আমাদের কোনো ছুটি নাই। এমনকি যেদিন স্কুল বন্ধ থাকে সেই শুক্রবারও আমাদের ডিউটি করতে হয়। বেতন ঠিকমতো দিলেও আমরা কোনো ধরনের উৎসব ভাতা পাচ্ছি না। তাই আমাদের দাবি আদায়ের জন্য আজ রাজপথে নেমেছি।
এ সময় তারা তিনটি দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- ১। চাকরি জাতীয়করণ ২। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল টাইম ডিউটির পরিপত্র জারি ও ৩। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি এবং উৎসব ভাতা চালু করা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাধন কান্ত বারই, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মোল্লা, কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক রুবেল প্রমুখ।
বিএনএনিউজ/বিএম
