31 C
আবহাওয়া
১:১০ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৪, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ক্যাম্পাসে মারধর ও ছিনতাইয়ের শিকার রাবি শিক্ষার্থী

ক্যাম্পাসে মারধর ও ছিনতাইয়ের শিকার রাবি শিক্ষার্থী

ক্যাম্পাসে মারধর ও ছিনতাইয়ের শিকার রাবি শিক্ষার্থী

বিএনএ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মো.আরিফ হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী মারধর ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) ভোর পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হল ও সুইমিংপুল সংলগ্ন রাস্তায় তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. আরিফ জানান, গত শুক্রবার ঢাকা থেকে এক বন্ধু রাজশাহীতে আসে। তাকে রিসিভ করে ক্যাম্পাসের সুইমিংপুল সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে শাহ্ মখদুম হলের সামনে আসার সময় একটি বাইকে তিনজন ব্যক্তি বড় রেঞ্জ ও ছুরি প্রদর্শন করে। আমাকে শারীরিকভাবে আঘাত করে এবং আমার কাছে থাকা সব জিনিস বের করতে বলে। আমি তাতে রাজী না হওয়ায় আমাকে ও আমার বন্ধুকে টেনে হিঁচড়ে জিমনেশিয়ামের রাস্তার দিকে নিয়ে যায়। আমার কাছে থাকা একটি স্বর্ণের চেইন, ১৫০০০ টাকা, স্টুডেন্ট আইডি কার্ড ও এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার শেষদিকে যখন আমি চিৎকার করতে থাকি তখন বিনোদপুরের দিক থেকে দুজন ছেলে দৌড়ে আসে; কিন্তু তিন ছিনতাইকারী তখনও আমাকে মারতে থাকে। ছিনতাইকারীরা চলে যাওয়ার পরে সেই দুজন ছেলে জানায়, ঐ তিন ছিনতাইকারীর দুজনের নাম ও পরিচয় ওনারা জানেন এবং একজনের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত আছেন। তিনজনের মধ্যে দুজনের নাম- রুমি ও রাব্বি; একজনের নাম সে জানে না বলে জানায়।

সে আরও জানায়, তিন ছিনতাইকারীর বাসা বুধপাড়া। পরবর্তীতে গতকাল বড় ভাইদের সহযোগিতায় ছিনতাইকারীদের সকল তথ্য জোগাড় করে থানায় দিই; তাদের নামে নগরীর মতিহার থানায় অভিযোগ দায়ের করি।

এদিকে, রোববার সন্ধ্যায় ছিনতাইকারী রুমির মা ও মামাতো ভাই থানায় এসে পুলিশের সাথে আলোচনা করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো.আরিফ হোসেনের সাথে এসে মীমাংসার কথা বলে। তবে আরিফ কোনো মীমাংসায় না যেয়ে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

অভিযুক্ত তিন ছিনতাইকারী হলেন- মকবুল হোসেনের ছেলে রুমি, মৃত. সিরাজুলের ছেলে রাজু এবং রাব্বি। তাদের তিনজনের বাসা নতুন বুধপাড়া এলাকায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক ছিনতাইয়ের প্রসঙ্গে বলেন, “ক্যাম্পাসের মধ্যে এমন ঘটনা দুঃখজনক। আমাদের ক্যাম্পাসের অনেকগুলো গেইট হওয়ার কারণে পুরো ক্যাম্পাস আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এছাড়া, আমাদের সিসি ক্যামেরার সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম। এ ধরণের ঘটনা যেন ক্যাম্পাসে আর না ঘটে সেজন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। ছিনতাইয়ের শিকার শিক্ষার্থীকে সব ধরণের সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।”

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি। এখনও আমরা বিষয়টিকে অভিযোগ হিসেবেই নিয়েছি। সব কিছু জেনে আমরা এর বিরুদ্ধে একটা পদক্ষেপ নিতে পারবো।”

বিএনএনিউজ/সাকিব,বিএম

Loading


শিরোনাম বিএনএ