18 C
আবহাওয়া
১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ধামরাইয়ে অবৈধ মাটি ব্যবসায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

ধামরাইয়ে অবৈধ মাটি ব্যবসায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

সংঘর্ষ

বিএনএ, সাভার : ঢাকার ধামরাইয়ে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে গাংগুটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমজাদ মোল্লা ও জালসা গ্রামের আলী হোসেনের দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৭জন আহত হলে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

শনিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে ধামরাই উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের কৃষি জমিতে অবৈধভাবে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার সময় এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।

আহতরা হলেন, মোঃ সোলাইমান, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ হুমায়ুন, মোঃ মোস্তফা, মোঃ নাছির, এরশাদ ও বেলায়েত। তারা সবাই গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়, আমজাদ মোল্লার নেতৃত্বে ওমরপুর গ্রামের তিন ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে। শুধু তাই নয় দশচাকার ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি বহন করার কারণে বাথুলি থেকে জালসা আঞ্চলিক সড়কের পিচ উঠে সড়কটি নষ্ট হয়ে গেলে গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ এলাকার লোকজন ট্রাক চলাচল করতে বাঁধা দেয়। কিন্তু সেই বাঁধা উপেক্ষা করে আমজাদ মোল্লা ও সোলাইমান, নজরুল, হুমায়ুন ড্রামট্রাক দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে। পরে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ট্রাক চলাচল বাধা দিলেও তারা সে বাঁধা উপেক্ষা করে ট্রাক চালায়। পরে আজ সকালে ট্রাক চলাচলে বাঁধা দিলে আমজাত মোল্লার লোকজন এলাকাবাসীর উপর আক্রমন করলে আলীর গ্রুপের লোকজন আসলে সংঘর্ষ বাধে। এতে দুই গ্রুপের ছয়জন আহত হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ধামরাইয়ে প্রায় প্রতিটি এলাকায় অবৈধভাবে কৃষি জমি ধ্বংস করে চলছে এক শ্রেণীর অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন ধরে উমরপুর কৃষি জমিতে মাটি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় প্রশাসন এর কোন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে কৃষি জমি ধ্বংসের পাশাপাশি এখানে খুন হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।

এবিষয়ে গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাদের মোল্লা বলেন, জালসা ওমরপুর গ্রামের কৃষি জমি ধ্বংস করে দশচাকার ড্রামট্রাক দিয়ে মাটি বহনের কারণে রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি করেছে সোলাইমান ও আমজাদ মোল্লা। ট্রাক চলার কারণে রাস্তা দিয়ে অন্য কোন গাড়ী চলতে পারে না। এছাড়া মাটির ট্রাক চলার কারনে আশে পাশের লোকজন বাড়ীতে থাকতে পারে না। তারা পরিষদে এসে আমার কাছে অভিযোগ দিলে আমি ও মেম্বার মিজানকে দিয়ে এলাকার লোকজন ট্রাক চলাচলে বাঁধা দেই। কিন্তু তারা বাঁধা না মেনে ট্রাক চালায়। এতে দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আরাফাত হোসেন বলেন, মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে জালসা গ্রামের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বিএনএ/ ইমরান খান, ওজি

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ