বিএনএ ঢাকা:করোনার কারণে এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে তার কোনো নিশ্চিয়তা নেই। এ অবস্থায় মাধ্যমিকের মতো দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে দেশের সব বিভাগীয় কার্যালয়, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে এই সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
চিঠিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অনলাইন ক্লাস পরিচালনাসহ ১৩ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে গুগল মিট ব্যবহার করে ক্লাস পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। অনলাইন ক্লাসের জন্য ডাটা সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা বিদ্যালয়ের স্লিপ ফান্ড থেকে নির্বাহ করতে হবে।
অনলাইন ক্লাস মনিটরিং করতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট, পিটিআই ইন্সট্রাক্টর (কম্পিউটার সায়েন্স), উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ইউআরসির ইন্সট্রাক্টরদের নিয়ে জেলা পর্যায়ে একটি কমিটি থাকবে।যারা ক্লাস্টার পর্যায়ে অনলাইন ক্লাস পরিচালনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন। আর এর সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন বিভাগীয় উপ-পরিচালক ।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা, মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা ও পিটিআই ইন্সট্রাক্টররা। ক্লাসের জন্য কন্টেন্ট ও পাঠ পরিকল্পনা সরবরাহ করা হবে। একই পাঠ পরিকল্পনা ব্যবহার করে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় একযোগে অনলাইন ক্লাস চলবে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের গুগল মিট ব্যবহার করে ক্লাস করার বিষয়ে অরিয়েন্টেশন দেবেন শিক্ষকরা। সংসদ টিভি ও বেতারে প্রচারিত ক্লাসের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অনলাইনেও ক্লাস চলবে।
অধিদপ্তর বলছে, গুগল মিট (Google Meet) অনলাইন ক্লাসের প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হবে। কোন ক্লাস্টারে কোন শিক্ষক গুগল মিটের বিষয়ে না জেনে থাকলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষকদের এক দিনের ওরিয়েন্টেশন দিতে হবে।
ক্লাসে শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে অধিদপ্তর আরও বলেছে, প্রতিটি ক্লাস্টারে যেসব শিক্ষকদের গুগল মিটের ওপর ওরিয়েন্টেশন দরকার, সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাদের তালিকা করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সুপারিনটেনডেন্ট বরাবর পাঠাবেন। প্রতিদিন ১টি করে ব্যাচের গুগল মিটের ওপর ওরিয়েন্টেশন কার্যক্রম চালানো হবে।
অনলাইন ক্লাসের সময়সূচি নির্ধারণের ক্ষেত্রে অধিদপ্তর জানিয়েছে, সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বাংলাদেশ বেতার ও কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে চলমান ‘ঘরে বসে শিখি’ পাঠ সম্প্রচারের সময়টুকু বাদ দিয়ে অনলাইন পাঠদানের সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্যাচমেন্ট এরিয়ার সব শিক্ষার্থীদের শিক্ষক প্রতি ভাগ করে নেবেন। শিক্ষকরা প্রতিজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে শিক্ষার্থী পাঠ অগ্রগতির তথ্য সংগ্রহ করবেন।
সংশ্লিষ্ট অনলাইন পাঠদানকারী শিক্ষকের কাছ থেকে মূল্যায়ন প্রতিবেদন সংগ্রহ এবং আবশ্যিকভাবে রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন প্রধান শিক্ষকরা।
অনলাইন পাঠদান প্রাথমিকভাবে ক্লাস্টারভিত্তিক হবে। তবে একই ক্লাস্টারে যদি ১টি ক্লাসে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩০ জনের বেশি হয়, তবে শিক্ষার্থী সংখ্যা অনুযায়ী একাধিক ক্লাসের আয়োজন করা যাবে। অথবা অন্য ক্লাস্টারের সঙ্গে সমন্বয় করা যাবে। জেলা পর্যায়ের কমিটি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
বিএনএনিউজ/আরকেসি