বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। সেই মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এক আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের জঙ্গিবিরোধী বিশেষ শাখা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট-সিটিটিসি।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে আাসমির নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার হওয়ার আসামি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জঙ্গি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।
বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে সিটিটিসি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর কথা রয়েছে।
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে ২০০০ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। ওই মাঠেই পরদিন শেখ হাসিনার সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক নূর হোসেন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
বিস্ফোরক দ্রব্য আইন, রাষ্ট্রদ্রোহ ও হত্যা ষড়যন্ত্র মামলায় প্রায় ২১ বছর পর ২০২১ সালের ২৩ মার্চ এই মামলার রায় ঘোষণা হয়। মামলায় ১৪ আসামির সবার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।
আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা প্রকাশ্যে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা জানান বিচারক।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিদের মধ্যে আজিজুল হক, লোকমান, ইউসুফ, এনামুল হক ও মোছহাব হাসান পলাতক ছিলেন।
এই মামলার প্রধান আসামি মুফতি আবদুল হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল। ২০০৪ সালে সিলেটে যুক্তরাজ্যের সাবেক হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর বোমা হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
বিএনএ/ এ আর