বাংলা ভাষা জাতীয় ভাষা হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। বাংলা আমার মায়ের ভাষা, এই মায়ের ভাষাকে পাক আমলে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া মোটেও সহজ ছিল না। রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে সালাম, বরকত, রফিক, শফিকের মতো তরুণদের রক্তে।রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনার। এত ত্যাগ-তিতিক্ষা পেরিয়ে আমরা পেয়েছি বাংলা ভাষা।
ঘর থেকে বের হলেই রাস্তায় রাস্তায় চোখে পড়ে অশুদ্ধ বাংলা লেখা। একুশের শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া বাংলা কবে শুদ্ধ ভাবে বাংলাদেশিরা লিখতে পারবে, কারো জানা নেই। যে হারে ইংরেজি সাইনবোর্ডের দিকে নতুন প্রজন্ম ঝুকছে, তাতে শংকা কাজ করে, আদৌ বাংলা থাকবে কি না। বেসরকারিভাবে ভাষা সৈনিকদের তালিকা হলেও সরকারিভাবে অনেক ত্যাগী ভাষা সৈনিকদের কোন মূল্যায়ন হয় নি। হয় নি কোন তালিকা।
বাংলা একাডেমি চাইলে তালিকা করে নিতে পারে। ভাষা আন্দোলনের ১০০বছর পর ভাষা সৈনিকদের তালিকা করা হলে , সে তালিকা বিতর্কিত হবে। যেমনি আজও বের হয়ে আসছে , ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মত বড় বড় শহরে যখন ভুল বানানে লেখা যানবাহনের বডি ও সাইন বোর্ড দেখি, তখন মনে হয় এদেশে কখনো ভাষার জন্য কোন আন্দোলন হয় নি, কে উ শহীদ হয় নি।
–এসজিএন, ঢাকা।