25 C
আবহাওয়া
৩:৪০ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র-পর্ব-০১

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র-পর্ব-০১

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র একটি প্রামাণিক গ্রন্থ যা ১৯৭১ সালে এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সংগঠিত বিভিন্ন ঘটনার বিস্তারিত তথ্যভান্ডার হিসাবে স্বীকৃত। ১৫ খন্ডে প্রকাশিত এ তথ্য ভান্ডারে এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা সাধারণ মানুষের অজানা। বিশেষ করে এ প্রজন্ম জানেই না কত রক্ত, কত কষ্ট, নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে।

গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ অর্জন ও উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে বাঙ্গালি জাতি বিলীন হয়ে যেত! এমনটাই মনে করেন সমাজ বিজ্ঞানীরা। নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস জানাতে ২০১৮ সাল থেকে বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ) ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে আসছে। ওয়েব সাইট সার্ভার রক্ষনাবেক্ষণ জটিলতার কারণে কিছু দিন বন্ধ ছিল। আবারও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করতে যাচ্ছে। ১ মার্চ থেকে প্রকাশিত হচ্ছে বাংলাদেশ স্বাধীনতার  নেপথ্যে গণ মাধ্যমের ভূমিকা, বিশেষ করে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের।

 

 আজ প্রকাশিত হলো 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র-পর্ব-০১

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র
“এবার তোমাদের বিদায় নিতে হবে, তবে অক্ষত অবস্থায় নয়। যে রক্ত এতদিন তোমরা নিয়েছো, সে রক্ত এবার আমরাও নেব।” বলেছেন বাংলার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।
বাঙালী রেজিমেন্ট, ই-পি-আর, পুলিশ বাহিনী, মুক্তিসেনা-এগিয়ে যাও। তোমাদের সাথে রয়েছে বাংলার বিপ্লবী বীর জনতা। এরা সবাই রক্ত দিতে প্রস্তুত, আজ এরা রক্ত দেবেই এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে পাকিস্তানী হানাদারদের ওপর এরা আক্রমণ চালাবে।” বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।
পাক সৈন্যদের খতম করুন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ন রাখুন। যে পতাকা একবার বাংলাদেশের মানুষ উড়িয়েছে, শেষ রক্তবিন্দু থাকতেও সেই পতাকা কোনদিন তারা ভুলে যাবে না”। বলেছেন স্বাধীন বাংলার ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের চারজন নেতা।
মনে রাখবেন, শত্রুসৈন্য ধ্বংস হওয়া না পর্যন্ত এই যুদ্ধাবস্থা চলবেই। তাই আরাম-আয়েশ বিসর্জন দিয়ে, রাতের ঘুম হারাম করে আপনারা আপনাদের বিজয়ের পথে এগিয়ে যান।পশ্চিমা হানাদারেরা এখনো চিনতে পারেনি বাঙালী রেজিমেন্ট, ই-পি-আর, পুলিশ বাহিনী আর মুক্তিসেনা কি জিনিস! তারা ভুলে গেছে এই বাহিনী বিভিন্ন যুদ্ধে যে শৌর্য ও বীর্য দেখিয়েছে তা তারা এখনো আন্দাজ করতে পারেনি। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস রাখি, যে সমস্ত হানাদার পাকিস্তানী সৈন্য এখনো রয়েছে তাদের বাঙালীরা নিশ্চিহ্ন করে দেবে। জয় বাংলা।
সংগীত : জয়, জয়, বাংলার জয়… … ।
স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মরণপণ সংগ্রাম চলেছে। বাংলার বীর সৈনিক, ইস্ট বেঙ্গল রাইফেলস, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস, পুলিশ বাহিনী এবং এদেশের প্রতিটি ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক, জনতা, হানাদার পশ্চিমা গুন্ডা বাহিনীর আক্রমণ সাফল্যের সাথে প্রতিহত করে চলেছে। এবং বাংলার বীর সৈনকিদের আক্রমণে দিশেহারা পশ্চিমা বাহিনী পিছু হটে চলেছে এবং মর্টার, কামান এবং ট্যাঙ্কের সাহায্যে বিভিন্ন স্হানে নির্বিচারে গণহত্যা করে চলেছে। পশ্চিমা হানাদার বাহিনী যখন প্রতিটি আন্তর্জাতিক নিয়ম উপেক্ষা করে গতকাল রাত্রে হাসপাতালে পর্যন্ত বোমাবর্ষণ করেছে- বাংলার সাত কোটি মুক্তিপাগল মানুষের উপর যেভাবে পশ্চিমা হানাদার বাহিনী আক্রমণ করে চলেছে, তার প্রতিরোধে বাংলার মানুষকে সর্বাত্নক সহায়তা করা প্রত্যেক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নৈতিক কর্তব্য বলে আমরা মনে করি। তাই বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষ আজ বিশ্বের কাছে আহবান জানাচ্ছে তারা যেন বাংলার মুক্তিপাগল জনগণের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন। আপনাদের অবগতির জন্য আমরা আরও জানাচ্ছি যে, পশ্চিমা হানাদার বাহিনীর মেজর জেনারেল টিক্কা খান—যাকে বাংলার বীর জনতা গভর্নর হিসেবে মেনে নিতে …….(অস্পষ্ট)অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, সেই কুখ্যাত টিক্কা খান কে বাংলার বীর সৈনিকেরা হত্যা করেছে। বাংলার বীর জনতা প্রতিটি অলিতে-গলিতে অস্ত্র হাতে শত্রুদের মোকাবেলা করে চলেছে। বিশ্ববাসী, আপনারা আসুন, বাংলার মানুষকে সর্বাত্নক সহায়তা করুন। আমরা জানি, ইনশাআল্লাহ্ জয় আমাদেরই হবেই। জয় বাংলা।
আপনারা বাংলার প্রতিটি জনসাধারণকে জানিয়ে দিন যেন শত্রুর মোকাবেলায় তারা সর্বাত্নক সাহায্য করেন।বাংলার বীর সৈনিকেরা যেভাবে শত্রুর মোকাবেলা করে চলেছে, তা সত্যই প্রশংসার যোগ্য। আপনারা এগিয়ে আসুন। আপনারা কেউ শহর থেকে যাবেন না।যে যেরুপ ভাবেই পারেন বাংলার মুক্তিপাগল মানুষকে সাহায্য করুন।…..আমাদের বিভিন্ন কেন্দ্রে খাদ্য ও যেসব সামগ্রী সংগ্রহ করা আছে, আপনারা যদি পারেন, সেখানে খাদ্য ও সামগ্রী জমা দিন।

I Major Zia of Bengal Liberation Army. This is Major Zia, the Leader of Bengal Liberation Army, speaking on the support of Bangabondhu Sheikh Mujibur Rahmans liberation movement.

The Pakistan Army consisting mainly of Panjabi traitors are killing the Bengalee civilians of all ages, and they [ acted in most ruthless manner. They have not spared the unarmed Bengalees- those are chiefly- those unarmed Bengalee officers and men of the army, navy and air force, some of whose families have not been killed]* the massacre started on the night of last Thursday when they attacked and started killing the unarmed soldiers, navy, airmen civilian population all over Swadin Bangladesh. They have been using American, Russian, and Chinese armaments including artillery gun and tank including Russian tank which is presented, which was so generously given by the Indonesian during the last 1965 war. All these acts uncivilised and cruel. They had a very well conceived plan of killing the senior political, civil, military leaders of Bengal. The need of the hour is that important personalities of Bangladesh should go underground and work from there. Voice of Amerika has announced that Beluchisthan and pakhtunistan with North-West Frontier Province has seceded from Pakistan to support the cause of Swadin Bangladesh. At this movement we have to fight united. By the grace of God, we will capture all Punjabi traitors in a matter of one or two days and free Bangladesh of these manaces. Joy Bangla.
This is- you are listening the tape broadcast by Major Zia of Bengal-Bengal Liberation Army leader. The broadcast coming to you from free Radio Bengal.
আপনারা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্টান শুনছেন। এবার আপনাদের মুক্তি-বাঙালী মুক্তিসেনা বাহিনীর নায়ক মেজর জিয়া আপনাদেরকে বাংলায় ভাষণ দিচ্ছেন।
আমি শেখ মুজিবুর রহমানের ঘোষিত স্বাধীন বাংলা প্রসংগে বলছি।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রধানত…… পাঞ্জাবী সৈন্যরা বাংলার বেসামরিক মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তারা অফিসার এবং নিরস্ত্র সৈন্যদের হত্যা করেছে। এমনকি তাদের পরিবারদেরকেও রেহাই দেয়নি।তাদের এরকম হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে গত বৃহস্পতিবার থেকে। সেদিন থেকে তারা বাঙালী সৈন্যদের নিরস্ত্র করে এবং সমস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের উপর জুলুম চালাতে থাকে। তারা আর্টিলারি কামান, আমেরিকান, রাশিয়ান ও চীনা অশ্ত্রশষ্ত্র ব্যবহার করে। এছাড়াও তাদের জুলুমের ভয়াবহ সামগ্রীগুলির মধ্যে রয়েছে রাশিয়ান ট্যাঙ্ক,যেটি তাদেরকে গত উনিশশো পয়ষট্টি সালের তথাকথিত যুদ্ধে মহান দেশ ইন্দোনেশিয়া আমাদেরকে দিয়েছিলো। দুশমনদের এ সমস্ত কাজ যেমন বর্বরোচিত তেমনি জঘন্য। এই সমস্ত বর্বর হানাদারদের এখন সুপরিকল্পিত মতলব হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান রাজনীতিক নেতাদের, বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মচারিদের এবং বাংলাদেশের মুক্তিসেনাদের হত্যা করা। এই চরম মূহুর্তে সবচেয়ে প্রয়োজন হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদিগকে আন্ডারগ্রাউন্ড বা গোপন কাজে চলে যেতে হবে এবং সেখান থেকে দুর্বার আক্রমণ গড়ে তুলতে হবে। কিছুক্ষণ আগে ভয়েস অব আমেরিকা বেতারে বলা হয়েছে যে, স্বাধীন বাংলাদেশের ন্যায় আন্দোলনকে পূর্ণরুপে সমর্থন করে বেলুচিস্তান এবং সীমান্ত প্রদেশের পাখতুনিস্থান তথাকথিত পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এই সময় আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে সংঘবদ্ধভাবে মহান সংগ্রাম গড়ে তোলা। আল্লাহর অনুগ্রহে আমরা পাঞ্জাবী দেশদ্রোহীদের সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করবো। এই পাঞ্জাবী দেশদ্রোহীদের বিধ্বস্থ করতে আমাদের সময় লাগবে মাত্র একদিন কিংবা দুইদিন। এবং এভাবে স্বাধীন বাংলাদেশকে আমরা শত্রুর কবল থেকে মুক্ত করবো। জয় বাংলা।
This is- you are listening the tape broadcast by Major Zia of Bengal-Bengal Liberation Army leader. The broadcast coming to you from free Radio Bengal.

This is ……this is Lt. Shamsher of Bengal Liberation of Army – I hereby pass a message from Major Ziaur Rahman of the Bengal Liberation of Army. He says it is reported that more Pakistani Punjabi Force and armament have been brought to Chittagong to d-Daccaby the sea and by the air- I therefore on behalf of the people of Bangladesh request all the peace-loving country of the world to give immediate recognition to Swadin Bangladesh and extend physical assistance of all types to liberate the democratic minded people of Bangladesh…..Under the circumstances I hereby declare myself as a Provisional Head of the Swadin Bangla Liberation Government under guidance of Sheikh Mujib. I urge upon the people of Bangladesh to continue this freedom movement with increased vigour and intent devotion. By the grace of God the victory is ours- Joi Bangla.

Here is an announcement : All civilians of Chittagong are requested to collect at Laldighi Maidan with whatever weapons they have and report to Captain Bhuiya and Captain Naser of the Bengal Liberation Army.
চট্টগ্রামে অবস্থানরত সমস্ত নাগরিকদের আহবান করা হচ্ছে যে, তারা দুপুর বারোটার মধ্যে লালদিঘীর ময়দানে তাদের সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ক্যাপটেন ভূইয়া এবং ক্যাপটেন নাসের……(অস্পষ্ট) হাজির হন। তিনারা দুপুর বারোটা পর্যন্ত আপনাদের জন্য ওখানে অপেক্ষা করবেন। দুপুর বারোটার মধ্যে আপনারা সবাই নিজ নিজ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লালদিঘী ময়দানে হাজির হয়ে যান। সেখানে ক্যাপটেন ভূইয়া ও ক্যাপটেন নাসের আপনাদেরকে আদেশ ও নির্দেশ দিবেন। অস্ত্রশস্ত্র পারতপক্ষে লুকিয়ে আনবেন- সাধারণ নাগরিক যাতে তা না দেখেন। আপনারা অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে আনবেন। অস্ত্রশস্ত্র ছাড়া লালদিঘীর ময়দানে যাবেন না। যাদের হাতে অস্ত্রশস্ত্র আছে শুধু তারাই লালদিঘীর ময়দানে যেয়ে হাজির হবেন। অস্ত্রশস্ত্র ছাড়া কেউ ওখানে যাবেন না।
আর একটি বিশেষ ঘোষণা : কুমিরায় অবস্থানরত স্বাধীন বাংলা মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে ক্যাপটেন ভূইয়া- ক্যাপটেন ভূইয়া দ্বারা পরিচালিত স্বাধীন বাংলা মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে পাঞ্জাব রেজিমেন্টের যে সংঘর্ষ হয়েছিল, তাতে পাঞ্জাব রেজিমেন্টের তিনশত সিপাই নিহত হয়েছে। তারা এখন ছত্রভঙ্গ হয়ে এদিক সেদিক ছড়িয়ে পড়েছে।কোন বেসামরিক নাগরিক তাদেরকে সাহায্য করবে না। পাঞ্জাবী কোন সৈনিককে বেসামরিক নাগরিক সাহায্য করবেন না।এখানেও স্বাধীন বাংলা মুক্তিবাহিনীর জয় হয়েছে।জয় বাংলা।
……. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বলছি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বলছি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বলছি। স্বাধীন বাংলার বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে আমাদের আবেদন, আপনারা কোন অবস্থাতেই বিভ্রান্ত হবেন না। আপনাদের উৎসাহ ও মনোবল অক্ষুণ্ন রাখুন। শান্তি ও শৃংখলার সাথে প্রত্যেকটি স্বাধীন দেশের নাগরিক বাংলার মুক্তিবাহিনীর কাজে সহায়তা করুন। আমাদের মুক্তিবাহিনীর কর্মতৎপরতায় সমগ্র এলাকা মুখর ।আমাদের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট চালু করেছেন যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সুলভে পাওয়া যায়। ঔষধপত্রের দোকানগুলো খোলা হচ্ছে। আপনারা যদি পরাজিত শত্রুবাহিনীর কোন বর্বর সৈন্যকে বিক্ষিপ্তভাবে কোন স্থানে যে কোন বেশে চলাচল করতে দেখেন তাকে উচিত সাজা দিন। তাদের সাথে কথা বলে তাদের ভাষা পরীক্ষা করবেন।তারা আমাদের বাঙালী সামরিক বিভাগের জোয়ানদের ওপর জুলুম করেছে। তাদের ক্ষমা নেই। প্রতিশোধ!প্রতিশোধ! নেবো! নেবো! আমাদের মুক্তিবাহিনী, কুমিরায় তিনশত বেইমান পাঞ্জাবী জোয়ান যখন পালাচ্ছিল, ক্যাপ্টেন ভূইয়ার নেতৃত্বে সম্পূর্ণভাবে তাদের ধ্বংস করে দিয়েছে। জয় বাংলা। জয় বাংলা। জয় বাংলা।
দুশমনরা আমাদের মুক্তিবাহিনীর পোষাক পরে চোরের মত স্বাধীন বাংলাদেশ ছেড়ে বনে-জঙ্গলে পালিয়ে যাচ্ছে। সমস্ত বাংলাদেশের নাগরিকরা সজাগ দৃষ্টি রাখুন এই হানাদারদের ওপর। এদের যেখানেই পান, সাথে সাথে এদের ধরে উপযুক্ত শাস্তি দিন।এদের চেনার উপায় হচ্ছে-যেখানে দেথেন বেশ দূরত্বে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এদের সাথে কথা বলবেন, সামনে যাবেন না প্রথমে। সন্দেহজনক লোক দেখলে বেশ দূরত্ব থেকে কথা বলে এদের পরিচয় জেনে তারপরে যদি সন্তুষ্ট হন, ছেড়ে দেবেন। নয়তো হাতের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করুন।

(তথ্যসুত্র:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র – পঞ্চম খন্ড। পৃষ্ঠা নং ১-৪)

সম্পাদনা:এইচ চৌধুরী, গ্রন্থনায়: ইয়াসিন হীরা

Loading


শিরোনাম বিএনএ