বিএনএ, ঢাকা: গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে চলছে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসরের প্রথম পর্ব। আজ দ্বিতীয় দিনে ফজরের নামাজের পর থেকেই বয়ান শুরু হয়েছে। বয়ানে নিজের মধ্যে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা এবং দ্বীনের বাণী সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার পদ্ধতি এবং বিশ্বের মুসলমানদের কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করা যায়, সেসব বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ইজতেমা ময়দানে দেখা যায় এমন চিত্র ।
ইজতেমার আয়োজকরা জানান, রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতে শেষ হবে প্রথম পর্বের আয়োজন। এ ধাপে অংশগ্রহণ করছেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লিরা। জুবায়ের পন্থিদের দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা চলবে ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই ধাপে অংশ নেবেন ২২ জেলা ও ঢাকার বাকি অংশের মুসল্লিরা। এরপর ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সাদপন্থিদের ইজতেমা। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের নিকট ময়দান বুঝিয়ে দেবেন সাদ অনুসারীরা।
প্রথম ধাপের ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশ:
ইজতেমার প্রথম ধাপে অংশ নিয়েছেন গাজীপুর, নড়াইল, রাজশাহী, নাটোর, গাইবান্ধা, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, যশোর, মাগুরা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, কুমিল্লা, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড় এবং ঢাকার ডেমরা, কাকরাইল, মিরপুর, ধামরাই, দোহার ও নবাবগঞ্জ এলাকার মুসল্লিরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মাগরিবের পর ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আমবয়ানের মাধ্যমে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়।
ইজতেমায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন আমিরুল ইসলাম (৪০), আবদুল কুদ্দুস গাজী (৬০) ও সাবেদ আলী (৭০)।
ইজতেমা মাঠের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ ও র্যাবের কন্ট্রোল রুম এবং ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। মনিটরিং করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে। ইজতেমা আয়োজক কমিটির নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব দুই ভাগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপ এবং ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনএনিউজ/ আরএস/শাম্মী