32 C
আবহাওয়া
১:০৪ অপরাহ্ণ - মে ৩, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রেমিট্যান্স ২০০ কোটি ডলার ছাড়াল

রেমিট্যান্স ২০০ কোটি ডলার ছাড়াল

ডলার

বিএনএ, ঢাকা : সদ্য সমাপ্ত জানুয়ারিতে দেশে মোট ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। এই পরিমাণ প্রবাসী আয় গত ছয় মাসে আসেনি। এর আগে গত বছরের জুন মাসে সর্বোচ্চ ২১৯ কোটি ডলার এসেছিল।

২০২৩ সালের জুন মাসে সবশেষ ২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল রেমিট্যান্স। মাঝে প্রায় ৬ মাসের বেশি সময় অতিক্রম করলেও ২ বিলিয়ন ডলার বা এর বেশি আসেনি। তবে চলতি বছরের প্রথম মাসের শুরু থেকেই প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আসার ধারা ভালো ছিল। এখন নিরাপদ ও বাড়তি প্রণোদনা পাওয়ায় প্রবাসীরা উৎসাহিত হচ্ছেন। আগামীতে আরও রেমিট্যান্স আসবে বৈধপথে।

সদ্য বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার বা ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি আসে। আর দিনে এসেছে ৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার বা ৭০৪ কোটির টাকার বেশি।

এরমধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬ কোটি ৬২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৭২ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ লাখ ৮০ হাজার ডলার।

২০২৩ সালে সব মিলিয়ে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২ হাজার ১৯০ কোটি ডলার। ২০২২ সালে এসেছিল ২ হাজার ১৩০ কোটি ডলার। এর মানে, ২০২৩ সালে প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। এর আগে ২০২১ সালে ২ হাজার ২০৭ কোটি ডলার, ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৩ কোটি ডলার ও ২০১৯ সালে ১ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় আসে।

সেই হিসাবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে। তা সত্ত্বেও প্রবাসী আয়ে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

এদিকে প্রবাসী আয় বাড়লেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত আরও কমেছে। কারণ, দুই বছর ধরে চলা ডলার-সংকট এখনো কাটেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে ব্যাংকগুলোর কাছে আমদানি দায় মেটানোর সুযোগ দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫০৯ কোটি ডলার, যা আবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী ১ হাজার ৯৯৪ কোটি ডলার। এর আগে ২৫ জানুয়ারি মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৫২৩ কোটি ডলার। বিপিএম ৬ অনুযায়ী তা ছিল ২ হাজার ২ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে প্রায় ১৪ কোটি ডলার। আইএমএফের দেওয়া ঋণের শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশের যে পরিমাণ প্রকৃত রিজার্ভ থাকার কথা, তা বর্তমানে নেই।

বিএনএনিউজ/এইচ.এম/এইচমুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ