বিএনএ, ঢাকা: বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অতিথিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লাখ লাখ মানুষ সমবেত হবেন। ঢাকার অদূরে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা প্রান্তরে ধর্মীয় এই জমায়েত নির্বিঘ্ন করতে ইতোমধ্যে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
প্রথম পর্ব আগামী ২ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ৪ ফ্রেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব আগামী ৯ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। এ বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) যানবাহন নির্ধারিত স্থানে পার্কিংসহ বেশকিছু সড়কে ডাইভারশন দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
গাড়ি পার্কিংয়ের নির্ধারিত স্থান:
ইজতেমায় আগত সম্মানিত মুসল্লিদের যানবাহনগুলো নিম্নবর্ণিত স্থানে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করবেন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং: ১৫ নম্বর সেক্টর এলাকাধীন কদমতলী মার্কেট, ৫ নম্বর ব্রিজের ঢাল এবং ১৭ নম্বর সেক্টর উলুদাহ মাঠ।
সিলেট ও খুলনা বিভাগ পার্কিং: উত্তরাস্থ ১৫ নম্বর সেক্টর লেকপাড় মাঠ।
রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং: ১০ নম্বর ব্রিজ, ১১ নম্বর ব্রিজ লেকের পশ্চিম পার্শ্ব, ১৬ নম্বর সেক্টরের ভিতরে ও বউবাজার মাঠ।
বরিশাল বিভাগ পার্কিং: ধউর ব্রিজ ক্রসিং সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন।
ঢাকা মহানগরী পার্কিং: ৩০০ ফিট রাস্তা সংলগ্ন স্বদেশ প্রোপার্টির খালি জায়গা।
ডাইভারশন:
ডাইভারশন পয়েন্টগুলো (শুধুমাত্র আখেরি মোনাজাতের দিন আগামী ৪ ফ্রেব্রুয়ারি ও ১১ ফ্রেব্রুয়ারি ভোর ৪টা থেকে দেওয়ার কথা জানিয়েছে ডিএমপি। ডাইভারশন স্থান- ধউর ব্রিজ, ১৮ নম্বর সেক্টর পঞ্চবটী ক্রসিং, পদ্মা ইউলুপ, ১২ নম্বর সেক্টর খালপাড়, মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন ব্লু ক্রসিং, ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে (বিশ্বরোড নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেট), কুড়াতলী ফ্লাইওভার লুপ-২, মহাখালী ফ্লাইওভার পশ্চিম পার্শ্ব ও মিরপুর দিয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড ক্রসিং।
বিশেষ নির্দেশনা:
আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে আন্তঃজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহনগুলো আব্দুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে।
অনুরূপভাবে নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়া হয়ে উত্তরবঙ্গ হতে আগত যানবাহনগুলো কামারপাড়া/আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং পরিহার করে সাভার, গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে অথবা ধউড় ব্রিজ ক্রসিং হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে।
ঢাকা থেকে এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে আগত যানবাহনগুলো কুড়িল ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে প্রগতি সরণি হয়ে অথবা বিশ্বরোড ক্রসিং (নিকুঞ্জ-১ ক্যাচি গেট) দিয়ে ইউটার্ন করে চলাচল করবে।
আখেরি মোনাজাতের দিন ভোর ৪টা থেকে ৩শ ফিট দিয়ে আগত যানবাহনগুলো কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-২ (এয়ারপোর্টগামী) পরিহার করে প্রগতি সরণি এবং কুড়িল ফ্লাইওভার লুপ-৪ (কাকলী মহাখালীগামী) ব্যবহার করবে। কোনোভাবেই বিমানবন্দর সড়ক ব্যবহার করা যাবে না।
আখেরি মোনাজাতের দিন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা/এয়ারপোর্টগামী এক্সিট পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
উত্তরার বাসিন্দা, বিমানযাত্রী, বিমান অপারেশনাল যানবাহন ও বিমান ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সব ধরনের যানবাহনের চালকরা বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করবেন।
ঢাকা মহানগর থেকে যেসব মুসল্লিরা পায়ে হেঁটে বিশ্ব ইজতেমাস্থলে যাবেন, তাদের তুরাগ নদীর ওপরে নির্মিত বেইলী ব্রিজ অথবা কামাড়পাড়া ব্রিজ দিয়ে টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাতায়াত করবেন।
বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন পদ্মা ইউলুপ এবং কুড়াতলী লুপ-২ থেকে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের জন্য পরিবহন সেবা দেওয়া হবে।
নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবহনকারী যানবাহন পার্কিং এর সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং বহনকারী যাত্রীরা ও চালক একে-অপরের মোবাইল নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়। গাড়ির সামনে ড্রাইভারের মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান থাকবে।
যেসব স্থানে পার্কিং করা যাবে না: খিলক্ষেত থেকে আব্দুল্লাপুর হয়ে ধউড় ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার উভয় পার্শ্বে পার্কিং করা যাবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে সম্মানিত নাগরিকদের কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।
বিএনএ/এমএফ